শনিবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » অলৌকিক নয় লৌকিক » বাঁশের পানিতে রোগ মুক্তি
বাঁশের পানিতে রোগ মুক্তি
২০০৮ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রায় সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে একটি গুজব ঝড়ো গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি ছিল: ৫ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখ বুধবার রাত ১২ টার পর বাঁশবাগানে গিয়ে বাঁশ বা এর কঞ্চি কাটলে তা থেকে বের হবে রহমতের পানি, যা পান করলে মিলবে সমস্ত প্রকার রোগ-শোক থেকে আরোগ্য। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায় জৈনপুরী পীর স্বপ্নে এই ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন, যা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এই সংবাদের ভিত্তিতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছিল সেদিন রাতে তাদের স্থানীয় বাঁশবাগানগুলোতে, কেটেছিল বাঁশ-কঞ্চি, আর তার মধ্যে থেকে সত্যিই বেরিয়েছিল পানি। মহা উৎসাহে মানুষ পান করেছিল সেই পানি। উজাড় হয়েছে অজস্র বাঁশঝাড়, এই মহোৎসব চলেছে বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই, চলেছে পরবর্তী শুক্রবার অব্দি।
কিন্তু আসলে এই পানির উৎস কি? কেনইবা বাঁশ কান্ডে সঞ্চিত হয় পানি, এর কারণ না খুঁজে রীতিমত উজাড় করা হয়েছে বাঁশঝাড়। চলুক জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ঘটনাটির ব্যাখ্যা কি। বাঁশ আসলে একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম bambusa agundenacea। এদের পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হয় তুলনামূলক কম। অধিক কুয়াশার কারণে অভিস্রবনের মাধ্যমে এদের কান্ডে পানি সঞ্চিত হয়। তাই হেমন্ত ও শীত মৌসুমে নরম বাঁশের (তল্লা) বা তার কঞ্চি কাটলে এই সঞ্চিত পানি বের হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক। তবে এই পানি পানে কোন রহমত তো নয়ই বরং শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে।
অনুসন্ধান: নভেম্বর, ২০০৮





কোভিড-১৯ থানকুনি পাতা খেয়ে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি’র গুজব
ধোঁকাবাজির নাম তান্ত্রিকশক্তি – ড. প্রদীপ দেব
আত্মঘাতী কুসংস্কার - ড. প্রদীপ দেব
২০১৬ সালের ১০ জুন থেকে ১৭ জুন পুরো পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ার গুজব
‘শয়তান তাড়ানোর’ নামে আদিবাসী নারীকে পিটিয়ে হত্যা
২৮ মে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হবে আমেরিকা
জ্বিন তাড়াতে পাঁঠা বলি
ষাঁড়-খাসি-মোরগ উৎসর্গ দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু 