বুধবার ● ১৯ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
শুঁড়ের জন্য দেখতে অনেকটা হাতির মতো, তবে আকারে ছোট্ট ইদুরের সমান, ঠিক এরকম একটি স্তন্যপায়ী প্রাণির প্রায় ৫০ বছর পরে আফ্রিকাতে নতুন করে সন্ধান মিলল। বৈজ্ঞানিক রেকর্ড থেকে জানা যায় প্রাণিটিকে আফ্রিকার জিবুতিতে সর্বশেষ ১৯৭০ সালে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
এলিফ্যান্ট শ্রু, বাংলায় হস্তিছুঁচো মোটেই হাতি বা ছুঁচো নয়, কিন্তু এটি পতঙ্গভুক স্তন্যপায়ী প্রাণি আর্ডভার্ক, হাতি ও জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণি মানাতির সাথে সম্পর্কযুক্ত।এরা সেনগি নামেও পরিচিত।
তাদের শুঁড়ের মতো নাক রয়েছে, যা তারা পোকামাকড় খেতে ব্যবহার করে। বিশ্বে ২০ প্রজাতির হস্তিছুঁচো রয়েছ এবং এদের মধ্যে অন্যতম রহস্যময় প্রজাতি সোমালি হস্তিছুঁচো (Elephantulus revoilii),যা কেবল কয়েক দশক আগে ৩৯জন ব্যক্তির থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং বর্তমানে জাদুঘরে রক্ষিত রয়েছে। এই প্রজাতিটি শুধুমাত্র সোমালিয়াতেই পরিচিত ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডারহমের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় লেমুর সেন্টারের গবেষণা বিজ্ঞানী স্টিভেন হেরিটেজ এই প্রাণিটিকে পর্যবেক্ষণর আওতায় ফিরে পেয়ে শিহরিত হয়েছেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন “আমরা যখন প্রথম ফাঁদ খুলে এর মধ্যে সোমালি হস্তিছুঁচো পেয়েছিলাম তখন আমরা সত্যিই উত্তেজিত ও আনন্দিত হয়েছিলাম। জিবুতিতে কোন প্রজাতির উত্থান ঘটেছিল তা আমরা জানতাম না এবং যখন আমরা একটি ছোট্ট গোছা বাঁধা লেজ বিশিষ্ট প্রাণিটিকে পেলাম আমরা পরষ্পরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম এবং আমরা জানতাম যে এটি বিশেষ কিছু ছিল।”
বিজ্ঞানীরা জিবুতিতে প্রাণিটির দেখা যাওয়ার খবর শুনেছিলেন এবং জিবুতির গবেষণা বাস্তুবিদ হউসেইন রায়লেহ, যিনি এই সফরে যুক্ত ছিলেন তিনি আগে এই প্রাণীটি দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, জিবুতির অধিবাসীরা কখনোই মনে করতো না যে এই প্রজাতিটি হারিয়ে গেছে। নতুন অনুসন্ধানে বিজ্ঞান জগতে সোমালি হস্তিছুঁচোকে ফিরে পাওয়া গেছে, যা সত্যি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে তিনি মনে করেন, জিবুতির বিপুল জীববচিত্র্যের মাঝে বিজ্ঞানের নতুন গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি