বৃহস্পতিবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » খোলসবিহীন আদিম কচ্ছপের অস্তিত্বের প্রমাণ
খোলসবিহীন আদিম কচ্ছপের অস্তিত্বের প্রমাণ
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন সূত্র খুজেঁ পেয়েছেন যা প্রমান করে সামুদ্রিক কচ্ছপ একসময় খোলস ছাড়াই বাস করতো। ২২ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগের পাওয়া প্রায় সম্পূর্ণ আকারের ফসিলটি ছিল ছয় ফুটেরও অধিক। ফসিলটির সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের গুইঝু প্রদেশে। এই আবিষ্কারের বিষয়ে একটি প্রবন্ধ বিজ্ঞান জার্ণাল নেচার-এ গত ২২ আগস্ট প্রকাশিত হয়।
কচ্ছপের খোলস তার শরীরের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান, যা তাকে সুরক্ষা প্রদান করে। কিন্তু এই প্রাগৈতিহাসিক কচ্ছপটির খোলস না থাকা একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। একইসাথে এর আরেকটি বৈশিষ্ট্যের খোঁজ মিলেছে, এর দাঁতবিহীন চঞ্চু। ধারণা করা হয় আবিষ্কৃত কচ্ছপটি ইউরাইনকোচেলিস সিনেনসিস, যার অর্থ ‘চঞ্চুবিশিষ্ট চীনের প্রত্যুষের কচ্ছপ’। এর প্রশস্থ পাঁজর বিশিষ্ট ফ্রিজবি-আকারের শরীর ছিল, কিন্তু এই পাঁজর আধুনিক কচ্ছপের মতো খোলস তৈরিতে কোন ভূমিকা রাখেনি।
প্রবন্ধের সহ-লেখক ও শিকাগো ফিল্ড জাদুঘরের জীবাশ্মবিদ অলিভার রিপেল জানান, এর ছিল অদ্ভুত চাকতি আকারের শরীর এবং একটি লম্বা লেজ। এর চোয়ালের পূববর্তী অংশ অদ্ভূত চঞ্চুর উদ্ভব ঘটিয়েছে। এটি সম্ভবত অগভীর জলে বাস করতো এবং মাটি খুড়ে খাবার সংগ্রহ করতো।
স্টকল্যান্ডের জাতীয় জাদুঘরের প্রকৃতি বিজ্ঞানী ও প্রবন্ধের সহ-লেখক ড. নিকোলাস ফ্রেজার বলেন, এটি দেখতে সামুদ্রিক কচ্ছপের মতো হলেও এর নীচে বা ওপরে কোন ধরনের খোলসই ছিল না।এই ধরনের বৃহৎ আকারের ফসিল খুজেঁ পাওয়া অত্যন্ত উদ্দীপক ঘটনা, যা কচ্ছপের বিবর্তনের ধাঁধার সমাধানের একটি টুকরো বলা চলে। এর দ্বারা আমরা ধারণা করতে পারি কচ্ছপের বিবর্তন মোটেই সোজাসাপটা উপায়ে ঘটেনি, এটি ধাপে ধাপে অনন্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দিয়ে একীভূত হয়েছে। এটি প্রকৃতই এক জটিল ঘটনাবলীর সমষ্টি, বলা যায় আমরা এই রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে কেবলমাত্র কাজ শুরু করেছি।