সর্বশেষ:
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

cosmicculture.science: বিজ্ঞানকে জানতে ও জানাতে
বুধবার ● ৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » নিউজিল্যান্ডে ৩ ফুট ২ ইঞ্চির দৈত্যকার তোতা পাখির অস্তিত্ব
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » নিউজিল্যান্ডে ৩ ফুট ২ ইঞ্চির দৈত্যকার তোতা পাখির অস্তিত্ব
৮০৭ বার পঠিত
বুধবার ● ৭ আগস্ট ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নিউজিল্যান্ডে ৩ ফুট ২ ইঞ্চির দৈত্যকার তোতা পাখির অস্তিত্ব

নিউজিল্যান্ডে ৩ ফুট ২ ইঞ্চির দৈত্যকার তোতা পাখি
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ বছর পূর্বে নিউজিল্যান্ডে ঘুরে বেড়ানো দৈত্যকার তোতা পাখিটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৩ ফুট ২ ইঞ্চি, যা একজন মানুষের গড় উচ্চতার অর্ধেকেরও বেশি। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ ওটাগো অঞ্চলের সেন্ট বাথানসের কাছে তোতাটির অবশেষ পাওয়া গেছে।
তোতাপাখিটির আকার থেকে ধারণা করা হয় অধিকাংশ বড়ো পাখির মতোই এটি উড়ালহীন এবং মাংসাশী ছিল। গত ৬ আগস্ট বায়োলজি লেটারস জার্নালে পাখিটির ওপর একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। ইতোপূর্বে সবচেয়ে বড় পরিচিত তোতাপাখি কাক্কাপোর চেয়ে এটি দুইগুণ বেশি ভারী।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্নবিদ এবং গবেষণার শীর্ষস্থানীয় লেখক অধ্যাপক ট্রেভর ওয়ার্থি বলেছেন, “পৃথিবীতে এর মতো আর কোনও দানবীয় তোতা পাওয়া যায়নি। এর সন্ধান পাওয়া খুব তাৎপর্যপূর্ণ।”
নতুন প্রজাতির এই তোতাপাখিটির অস্বাভাবিক আকার এবং শক্তির কারণে জীবাশ্মবিদরা একে হেরাক্লেস ইনেক্সপেকট্যাটাস প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত করছেন না। বরং এর হাড়গুলি দেখে প্রথমে ঈগল বা হাঁসের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়েছিল, যা চলতি বছরের শুরুতে একদল জীবাশ্মবিদদের নজরে আসার আগে প্রায় ১১ বছর ধরে সংরক্ষিত ছিল। অধ্যাপক ওয়ার্থি বলেছিলেন যে তাঁর এক শিক্ষার্থী গবেষণা চলাকালীন পরীক্ষাগারে তোতার হাড় পেয়েছেন।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, তোতার ঠোঁটটি এতো বড় ছিল যে কল্পনা করা হয় এটি যেকোন কিছুকেই খুলতে পারত। মনে করা হয় প্রচলিত তোতাপাখির চেয়ে বেশি খাবার খেতে পারত, এমনকি অন্য তোতাপাখিও। অধ্যাপক ওয়ার্থের মতে তোতার কোনও শিকারী না থাকায় এটির আক্রমণাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল। এটি সম্ভবত মাটিতে বসে, ঘুরে বেড়াত এবং বীজ এবং বাদামই বেশি খেত।
বড় পাখির আবিষ্কার নিউজিল্যান্ডে অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেন্ট বাথানস, যেখানে দৈত্য তোতার পায়ের হাড় খনন করা হয়েছিল, এটি এমন একটি অঞ্চল যা মায়োসিন যুগ থেকে প্রচুর জীবাশ্মের জন্য পরিচিত, এটি ২৩ মিলিয়ন থেকে ৫.৩ মিলিয়ন বছর আগে পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তবে অধ্যাপক ওয়ার্থ ধারণা করেন এই অঞ্চল থেকে অনেক অপ্রত্যাশিত প্রজাতি এখনও খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি





আর্কাইভ

মহাবিশ্বের প্রারম্ভিক অবস্থার খোঁজেজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম রঙীন ছবি প্রকাশ
ব্ল্যাকহোল থেকে আলোকরশ্মির নির্গমন! পূর্ণতা মিলল আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের
প্রথম চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স এর জীবনাবসান
মঙ্গলে ইনজেনুইটি’র নতুন সাফল্য
শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নির্দেশকের সন্ধান লাভ
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
বামন গ্রহ সেরেসের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতার কারণ লবণাক্ত জল
রাতের আকাশে নিওওয়াইস ধূমকেতুর বর্ণিল ছটা,আবার দেখা মিলবে ৬,৭৬৭ বছর পরে!
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০
মহাকাশে পদার্পণের নতুন ইতিহাস নাসার দুই নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের মহাকাশে যাত্রা