সর্বশেষ:
ঢাকা, মে ১৪, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

cosmicculture.science: বিজ্ঞানকে জানতে ও জানাতে
বৃহস্পতিবার ● ২৩ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » অজগর শিকারকে হৃদযন্ত্র বন্ধ করে মারে
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » অজগর শিকারকে হৃদযন্ত্র বন্ধ করে মারে
৫০০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৩ জুলাই ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অজগর শিকারকে হৃদযন্ত্র বন্ধ করে মারে

অজগর শিকারকে হৃদযন্ত্র বন্ধ করে মারেঅজগর শিকারকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে এমনটা পূর্বে ধারণা করা হলেও বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দেখিয়েছেন যে, অজগর শিকারের রক্ত সংবহনন্ত্র কেটে ফেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বিকল করতে তরান্বিত করে। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রবন্ধ জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি তে প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অজগর প্রথম ছোবলেই ইঁদুরকে অবশ করে ফেলে। তারপর কমপক্ষে দুই পাক দিয়ে তাদের আবদ্ধ করে ফেলে এবং পাজর বা উদরে চাপ প্রয়োগ করে।
অজগর প্রথম ছোবলেই ইঁদুরকে অবশ করে ফেলে। তারপর কমপক্ষে দুই পাক দিয়ে তাদের আবদ্ধ করে ফেলে এবং পাজর বা উদরে চাপ প্রয়োগ করে।মার্কিন গবেষকরা ইঁদুরের রক্তচাপ ও হৃদকম্পন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে, রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হওয়ার সেকেন্ডের মধ্যে ইঁদুরের হৃদকম্পন অস্বাভাবিক হয়ে যায় পেনসিলভেনিয়ার ডিকিনসন কলেজের সাপ গবেষক স্কট বোব্যাক বলেন, সাপ পেচিয়ে ধরার পরে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হওয়ায় শিকারের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়
অজগর এবং বোয়া উভয়ের ক্ষেত্রেই মনে করা হতো তারা শিকারকে শ্বাসরোধ করে মারে। কিন্তু বাস্তবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শিকারের মৃত্যু ঘটে। বোব্যাক বলেন, এটা হালকাভাবে নেয়ার মতো না এবং আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে মৃত্যুকালে শিকার (ইঁদুর) ব্যাথা বা কষ্ট পায় কিনা। বোব্যাক গবেষণার স্বার্থে তার গবেষণাগারে অর্ধশত বোয়ার কলোনী গড়ে তুলেছেন।
তিনি আরও যোগ করেন, আমরা দেখতে পেয়েছি শিকার ধরার পরে সাপ প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে ইঁদুর সাপের আক্রমনের শিকার হয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হওয়ায় অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং হৃদকম্পন অস্বাভাবিক হয়ে যায় সাপ তার শক্তি অপচয় কমাতে হৃদপিন্ড অচল হয়েছে নিশ্চিত হয়েই কুণ্ডলী থেকে শিকারকে ছেড়ে দেয়
১৯২৮ সালে অ্যান্টিভেনিন ইনস্টিটিউট অবমেরিকা প্রকাশিত একটি বুলেটিনে গবেষক ফ্যাঙ্ক ম্যাকলিস অজগর এবং বোয়া সাপ তার শিকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। পরবর্তীতে ড. বোব্যাকের বন্ধু প্রাণীবিদ ডেভ হার্ডি ১৯৯৪ সালে দাবি করেন শ্বাসরোধ কখনও হত্যার কৌশল হতে পারে নাকিন্তু এই প্রথমবারের মতো বিষয়টি গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হলো।

সূত্র:
ডেইলী মেইল
২৩ জুলাই, ২০১





আর্কাইভ

মহাবিশ্বের প্রারম্ভিক অবস্থার খোঁজেজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম রঙীন ছবি প্রকাশ
ব্ল্যাকহোল থেকে আলোকরশ্মির নির্গমন! পূর্ণতা মিলল আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের
প্রথম চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স এর জীবনাবসান
মঙ্গলে ইনজেনুইটি’র নতুন সাফল্য
শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নির্দেশকের সন্ধান লাভ
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
বামন গ্রহ সেরেসের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতার কারণ লবণাক্ত জল
রাতের আকাশে নিওওয়াইস ধূমকেতুর বর্ণিল ছটা,আবার দেখা মিলবে ৬,৭৬৭ বছর পরে!
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০
মহাকাশে পদার্পণের নতুন ইতিহাস নাসার দুই নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের মহাকাশে যাত্রা