বুধবার ● ২২ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » স্থানীয় বিজ্ঞান সংবাদ » আবদুল জব্বার সম্মাননা পেলেন ড. আলী আসগর
আবদুল জব্বার সম্মাননা পেলেন ড. আলী আসগর
জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদানের জন্য বিজ্ঞান ব্যক্তিত্ব ড. আলী আসগরকে মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সম্মাননা প্রদান করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এবং রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। ২২ জুলাই রাজধানীতে এক আয়োজনে ড. আসগরকে জ্যোতির্বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে অসামান্য অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়। একইসাথে বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রগূত মোহাম্মদ আবদুল জব্বার-এর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের মেঝ ছেলে প্রকৌশলী মো. আবদুল মতিন তার বাবার কর্মজীবনের উপর আলোকপাত করেন। তিনি জানান, তার বাবা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা পান নি, সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় আর নিজ চেষ্টায় জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা করেছেন। ১৯৮৫ সালে হ্যালির ধূমকেতু পুনঃআবির্ভাবের সময় বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ ধূমকেতু দেখার প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে আবদুল জব্বারের দ্বারস্থ হোন বলেও জানান তিনি।
অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে ড. আলী আসগরের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংস্থাটির সভাপতি মশহুরুল আমিন ড. আলী আসগরের হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন। ক্রেস্ট গ্রহণের পর ড. আলী আসগর তার বক্তব্যে তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন অধ্যাপক আবদুল জব্বার। তিনিই প্রথম বাঙালী পাঠকদের বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে জানতে ও পড়তে আগ্রহী করে তুলেছিলেন। তিনি আইনস্টাইনের তত্ত্বগুলোকে সরলভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম ছিলেন।
আলী আসগর আরও বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠ নেই। যে কারণে শিশুদের মানসিক বিকাশের অন্যতম এই মাধ্যমটি নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু দখলদারেরা আকাশ দখল করতে পারেনি। প্রতিটি বাড়ির ছাদ যদি মানুষের জন্য আকাশ দেখার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়, তাতে মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা উদারভাবে গড়ে উঠবে। মহাকাশের রহস্য জানার আগ্রহ তাদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।
২২ জুলাই, ২০১৫