মঙ্গলবার ● ৮ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » স্থানীয় বিজ্ঞান সংবাদ » ত্রয়োদশ অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড ২০১৮
ত্রয়োদশ অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড ২০১৮
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ত্রয়োদশ ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডে’র চূড়ান্ত আসর। গত ৪ মে শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে বসে দেশসেরা অর্ধসহস্রাধিক খুদে জ্যোতির্বিজ্ঞানীর মিলনমেলা। সেখান থেকে সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপে সেরা নির্বাচিত হয় ২০ জন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আলেকজান্ডার পি ডেমিন, সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাঈদ খান। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চের সংগঠক জনার্দন দত্ত নান্টু, সঙ্গীতশিল্পী শেখ শাহেদ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর মাসুদুর রহমান। অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আয়োজনে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডে। ১৬টি আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডের ৫৫০ বিজয়ীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় চূড়ান্ত আসরে। সেরাদের প্রাপ্তি :অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রত্যেকের হাতে মেডেল, সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। এর মধ্যে সিনিয়র গ্রুপের প্রথম পাঁচ বিজয়ী রাশিয়ান সরকারের বৃত্তিতে অ্যাস্ট্রোনমি, অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বা অন্য কোনো বিষয়ে সে দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া উভয় গ্রুপ থেকে শীর্ষ ৩২ জনকে নিয়ে পরবর্তী সময়ে ক্যাম্প তৈরি করা হবে। সেখান থেকে সেরা নয় বাছাই করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডে পাঠানো হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার রায় বলেন, পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়ন অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ যাত্রাকে আরও বেগবান করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এটা আশঙ্কাজনক। মহাকাশ নিয়ে চর্চা বাড়ানোর জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। আগামীতে প্রতি উপজেলায় টেলিস্কোপ দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
আবু সাঈদ খান বলেন, আজকের খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আগামী দিনের আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং, সত্যেন বোস, জগদীশ চন্দ্র বসুর মতো বিজ্ঞানী তৈরি হবে। তবে সবাইকে বিজ্ঞানী হতে হবে তা নয়। বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে জমাট বাধা কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ দূর করতে বিজ্ঞানমনস্ক আলোকিত মানুষের বিকল্প নেই। সে রকম মানুষ গড়তে গণমাধ্যমেরও দায় আছে। সে জন্যই অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের মতো আয়োজনের সঙ্গে সমকাল সবসময় যুক্ত থাকে।
আলেকজান্ডার পি ডেমিন বলেন, জ্ঞান ও সক্ষমতা যাচাইয়ে অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করবে। এ আয়োজনের অংশ হতে পেরে রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার খুবই গর্বিত। আগামীতেও অ্যাস্ট্রোনমি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।