সোমবার ● ১৫ জুলাই ২০১৩
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা » সন্তান জন্মদানে নতুন আইভিএফ স্ক্রিনিং কৌশল
সন্তান জন্মদানে নতুন আইভিএফ স্ক্রিনিং কৌশল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আইভিএফ স্ক্রিনিং কৌশল অবলম্বন করে জন্ম নিল একটি শিশূ, যা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রণীত এই উপায়ে কনর লেভী নামের শিশুটি গত মে মাসে জন্মগ্রহণ করে, এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সন্তান জন্মদানের জন্য সম্ভাবনাময় ভ্রুণটি বেছে নিতে পেরেছেন।
আইভিএফ পরীক্ষার প্রতি তিনটির একটিতে ভ্রুণের ডিএনএ-তে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদ্ধতির কার্যকারিতা দেখার জন্য ব্যাপক মাত্রায় এবং অনেক দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে। যদি ভ্রুণের ডিএনএ প্যাকেজে অর্থাৎ ক্রোমোজোমে কোন অস্বাভাবিকতা থাকে তাহলে এটি গর্ভাশয়ে স্থাপন করা যাবে না। এটি এমন একটি সমস্যা যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে। নারীদের ত্রিশ বছরের শুরুতে একচতুর্থাংশ ভ্রুণেই আস্বাভাবিকতা দেখা যায়। কিন্তু ত্রিশোর্ধ থেকে চল্লিশ বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এই হার বেড়ে তিন-চতুর্থাংশ হয়ে যায়। নতুন পরীক্ষায় মানব জেনোমের পরম্পরায় নাটকীয় অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উপস্থিত ক্রোমোজোমের সংখ্যা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব।
ম্যারিবেথ সেইডস্ (৩৬) এবং তার স্বামী ডেভিড লেভী (৪১) প্রায় চার বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণের চেষ্টা করে এসেছেন, এমনকিত তারা কৃত্রিম নিষেকও প্রয়োগ করেছন। স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে তেরোটি ভ্রুণের মধ্যে তিনটি পাওয়া গেছে যারা অপেক্ষাকৃত সুস্থ্য। ক্রোমজোম স্ক্রিনিং ছাড়া সঠিক ভ্রুণ নির্ধারণ করা অনেকটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়ার মতো বিষয়। কিন্তু তারা স্ক্রিনিং পদ্ধতির প্রথম উদ্যোগেই সফল হন। বিবিসি অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যারিবেথ জানান, এটি যের তার কাছে একটি মাশুল হয়ে দাড়িয়েছিল। এমনও দিন গেছে যখন তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তেন, আর কান্না করা ছাড়া উপায় থাকতো না। তিনি বেডরুমে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চাইতেন।
মেইন লাইন হেলথ সিস্টেমের ফার্টিলিটি বিষয়ক চিকিৎসক ড. মিখায়েল গ্ল্যাসনার বলেন, “এই ধরনের কৌশল ধীরে ধীরে খুব সাধারণ হয়ে উঠবে। আপনি যদি বিফল হয়ে যাওয়া কোন রোগীর চোখের দিকে তাকান তাহলে সেখানে দেখতে পাবেন তাৎপর্যপূর্ণভাবে সফল গর্ভধারণের কোন পদ্ধতির প্রতি তাদের আশা ও স্বপ্ন। তাই আমি মনে করি এখন থেকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি একটি আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হবে।”
সূত্র: বিবিসি [৮ জুলাই, ২০১৩]