মঙ্গলবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৪
প্রথম পাতা » নোবেল পুরষ্কার:রসায়ন » লাইট মাইক্রোস্কোপের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০১৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার
লাইট মাইক্রোস্কোপের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০১৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার
লাইট মাইক্রোস্কোপের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ২০১৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছেন স্টেফান ডাবি্লউ হেল, উইলিয়াম ই মোয়েরনার ও এরিক বেটজিগ। এরিক ও মোয়েরনার যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী আর স্টেফান জার্মানির।
‘সুপার রিজলভড ফ্লুরেন্স মাইক্রোস্কপের উন্নয়নের জন্য তিন বিজ্ঞানীকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে অপটিক্যাল মাইক্রোস্কপের যে ক্ষমতা ছিল তাতে আলোকতরঙ্গের অর্ধেকই প্রতিভাত হতো। ফ্লুরোসেন্স মলিকিউলের সাহায্যে তিন বিজ্ঞানী এর সক্ষমতা বাড়িয়েছেন।
বিজ্ঞানী এরিক বেতজিগ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাশবার্নের হাওয়ার্ড হাজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের জেনেইলা ফার্ম রিসার্চ ক্যাম্পাসে কাজ করছেন। স্টেফান ডবি্লউ হেল জার্মানির গুইটিনগেনের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি এবং হাইডেলবার্গের জার্মান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে গবেষণরত। আর উইলিয়াম ই মোয়েরনার যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
নোবেল কমিটির প্রধান এবং লুন্ডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক সিফেন লিডিন বলেছেন, নোবেল বিজেতাদের এ কাজের ফলে মলিকিউলার প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে তা সরাসরি দেখা যাবে।
লাইট মাইক্রোস্কোপ বা অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ নিয়ে বহুদিন ধরেই এমন ধারণা ছিল যে, এতে কখনোই আলোক রশ্মির দৈর্ঘ্যের অর্ধেকের চেয়ে বেশি ভালো রেজ্যুলুশন পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই বিজ্ঞানীরা ফ্লোরোসেন্ট মলিকিউল ব্যবহার করে এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন। ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে কোষ অভ্যন্তরের ক্রিয়া-বিক্রিয়াগুলো দেখতে পারবেন।