

শুক্রবার ● ১৩ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » নোবেল পুরষ্কার:রসায়ন » ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৭ সালে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ
ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৭ সালে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ
ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৭ সালে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিন বিজ্ঞানী - জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক, রিচার্ড হ্যান্ডারসন ও জ্যাকস ডুবোশেট। তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক জ্যাকস ডোবেশেট ল্যুজান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক অধ্যাপনা করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর রিচার্ড হ্যান্ডারসন যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
তাদের এই উদ্ভাবনে দ্রবণে জৈব অণু পর্যবেক্ষণ করা যাবে আরও স্পষ্ট ও নিখুঁতভাবে। নোবেল কমিটির ঘোষণায় বলা হয়, ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির মাধ্যমে জৈবিক অণুর উন্নতমানের প্রতিচ্ছবি ধারণ আগের চেয়ে অনেক সহজে করা যাবে। এর ফলে জীবদেহের জটিল সব কলকব্জা সম্পর্কে গভীরভাবে জানা সম্ভব হবে। এ পদ্ধতি প্রাণরসায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি নিয়ে আসবে। এতদিন ব্যবহার হয়ে আসা বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবদেহের আণবিক পর্যায়ের বহু কলকব্জার পূর্ণাঙ্গ ছবি পাওয়া কঠিন ছিল। ক্রিয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ঠিক এ জায়গাটিকেই আমূল বদলে দিয়েছে। এ কৌশল ব্যবহার করে গবেষকরা এখন সহজেই গতিশীল যে কোনো জৈবিক অণুকে স্থবির করে দিতে পারবেন। আর নিতে পারবেন এমন সব কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি, যা এতদিন একেবারেই অদৃশ্য ছিল। এ কৌশল প্রাণরসায়নের পাশাপাশি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির গবেষণাকেও বহুলাংশে এগিয়ে নেবে। তিন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কারের সুফল হিসেবে দেখা গেছে, প্রোটিন থেকে শুরু করে জিকা ভাইরাস- সব ধরনের জৈবিক অণুর প্রতিচ্ছবি ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে এই আবিষ্কারের ফলে।