সর্বশেষ:
ঢাকা, মে ১৪, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

cosmicculture.science: বিজ্ঞানকে জানতে ও জানাতে
মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৩
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » বিরল বানরের খুলির জীবাশ্মের সন্ধান
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: জীববিদ্যা ও বিবর্তন » বিরল বানরের খুলির জীবাশ্মের সন্ধান
৪২৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিরল বানরের খুলির জীবাশ্মের সন্ধান

চীনের ইয়ুনান প্রদেশের মাইওসিন অঞ্চল থেকে একটি গবেষক দল সম্প্রতি অল্পবয়স্ক একটি বনমানুষের খুলির জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছে।চীনের ইয়ুনান প্রদেশের মাইওসিন অঞ্চল থেকে একটি গবেষক দল সম্প্রতি অল্পবয়স্ক একটি বনমানুষের খুলির জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছে। গবেষক দলের সদস্য ও পেন স্টেটের নৃবিজ্ঞান অধ্যাপক নিনা জাবলোন্সকির মতে আপেক্ষিকভাবে নতুন এই লুফেনঞ্জপিথেকাস জীবাশ্মটি উল্লেখযোগ্য।
লক্ষণীয় যে এরকম অল্পবয়স্ক বানরের খুলির জীবাশ্ম লিপিবদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিরল। ২৩ থেকে ২৫ লক্ষ বছর আগে থেকে বিদ্যমান সমগ্র মাইওসিন অঞ্চলের এটিই দ্বিতীয়মাত্র কমবয়স্ক বানরের জীবাশ্ম যা তুলনামূলকভাবে অক্ষতপ্রায় অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। প্রথম জীবাশ্মটিও এই অঞ্চল থেকে পাওয়া গিয়েছে। খুলিটির বয়সও উল্লেখযোগ্য। মাত্র ৬ লক্ষ বছর বয়সে সুইতাংবা নামক স্থান থেকে সেটিকে পুনরুদ্বার করা হয়েছে। এটির বয়স মাইওসিন সমাপ্তির কাছাকাছি সময় বলা হচ্ছে যখন বনমানুষ ইউরোএশিয়ার অধিকাংশ স্থান থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। একই স্থান থেকেই মেসোপিথেকাস নামক বানরের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, যেটি পূর্ব এশিয়ায় বানরের প্রথম দিকের প্রতিনিধিত্বকারী।
সম্প্রতি চাইনিজ বিজ্ঞান বুলেটিনের অনলাইন প্রবন্ধে সহরচয়িতা জাবলোন্সকি আবিষ্কারটির বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, “সামান্য বিকৃতি ছাড়া নুতন এই খুলির সংরক্ষণটি চমৎকারভাবে হয়েছে। এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর পূর্বে আবিষ্কৃত সমপ্রজাতির পূর্ণবয়স্ক সকল খুলি জীবাশ্মগুলো জীবাশ্ম প্রক্রিয়াকালীন সময়ে ভগ্ন এবং বিকৃত হয়ে গিয়েছিলো।”
অল্পবয়স্ক হওয়া সত্বেও এটি লুফেঞ্জপিথেকাস লুফেঞ্জেনসিস এর করোটির গঠনতন্ত্র সম্পর্কে গবেষকদের স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করবে। এই প্রজাতির টিকে থাকাটা বেশি আশ্চর্যের নয় কারণ মাইওসিনে জলবায়ু ক্ষয়ের পরিমাণ থেকে দক্ষিণ চীনে কম ছিল। এই একই জলবায়ু ক্ষয়ের পরিমাণ বাকি ইউরোএশিয়ায় বেশি থাকায় বহুল সংখ্যক বনমানুষের প্রজাতির বিলোপের কারণ হয়েছিলো। গবেষকরা আরো খননের ফলে পূর্ণবয়স্ক বনমানুষের অবশিষ্টাংশ পাওয়ায় আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন যার ফলে এই বংশ সদ্যসদের মধ্যে এবং সেইসাথে অন্যান্য জীবাশ্ম ও বিলুপ্ত বনমানুষের সাথে সম্পর্ক মূল্যায়ন করতে পারবে।

সম্পাদনা: ফিবা মণ্ডল
সূত্র: সায়েন্স ডেইলী
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

 





আর্কাইভ

মহাবিশ্বের প্রারম্ভিক অবস্থার খোঁজেজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম রঙীন ছবি প্রকাশ
ব্ল্যাকহোল থেকে আলোকরশ্মির নির্গমন! পূর্ণতা মিলল আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের
প্রথম চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স এর জীবনাবসান
মঙ্গলে ইনজেনুইটি’র নতুন সাফল্য
শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নির্দেশকের সন্ধান লাভ
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
বামন গ্রহ সেরেসের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতার কারণ লবণাক্ত জল
রাতের আকাশে নিওওয়াইস ধূমকেতুর বর্ণিল ছটা,আবার দেখা মিলবে ৬,৭৬৭ বছর পরে!
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০
মহাকাশে পদার্পণের নতুন ইতিহাস নাসার দুই নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের মহাকাশে যাত্রা