রবিবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: জ্যোতির্বিজ্ঞান » হেমন্ত বিষুবন বা জলবিষুবন
হেমন্ত বিষুবন বা জলবিষুবন
২৩ সেপ্টেম্বর হেমন্ত বিষুবন বা জলবিষুবন। এইদিনে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান। সূর্য দুইটি নির্দিষ্ট দিনে এইরকম অবস্থানে থাকে। এর একদিন হলো ২১ শে মার্চ, অন্যদিন হলো ২৩ সেপ্টেম্বর।
পৃথিবী যে অক্ষের উপরে আবর্তিত হয়, তার উপর লম্ব করে পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে একটি সমতল কল্পনা করলে, সেই সমতলটি পৃথিবী গোলককে একটি বৃহৎ বৃত্তে ছেদ করে। যা নিরক্ষরেখা। এই সমতলটিকে আরও বাড়িয়ে দিলে তা খ-গোলককেও একটি বৃহৎ বৃত্তে ছেদ করে। খ-গোলকের এই বৃহৎ বৃত্তটি খ-বিষুব। পৃথিবীর অক্ষরেখাকে উভয়দিকে বাড়িয়ে দিলে তা পৃথিবী গোলককে দুটি বিন্দুতে ছেদ করে, এই বিন্দু দুটিই পৃথিবীর মেরু। এই অক্ষরেখাটিকেই আবার বাড়িয়ে দিলে খ-গোলকের যে বিন্দু দুটিতে ছেদ করে, তা হলো খ-বিষুব মেরু।
পৃথিবী আকাশে উপবৃত্তাকারভাবে একটি সমতলে পরিভ্রমনরত। এই উপবৃত্তের সমতলটি খ-গোলককে যে বৃহৎ বৃত্তে ছেদ করে তাই রাশিচক্র। এই রাশিচক্র এবং নিরক্ষরেখা পরস্পর ২৩ডিগ্রী ২৮ মিনিট কোনে দুই বিন্দুতে ছেদ করে। এই বিন্দু দুটিকেই বিষুবন বলে। দিগন্ত এবং খ-বিষুব এই বৃহৎ-বৃত্ত দুইটি পরস্পরকে সমদ্বিখন্ডিত করে। এর ফলে বিষুববৃত্তের যতটুকু অংশ দিগন্তের উপরে থাকে, ঠিক ততটুকু অংশই দিগন্তের নিচে থাকে। বিষুবন দিনে সূর্য সমানভাবে দিগন্তের উপরে ও নিচে অবস্থান করে। ফলে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়ে থাকে। জলবিষুবনকে গ্রিক বর্ণ Ω দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
# কসমিক কালচার ডেস্ক