সর্বশেষ:
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

cosmicculture.science: বিজ্ঞানকে জানতে ও জানাতে
সোমবার ● ২৩ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: জ্যোতির্বিজ্ঞান » আলোকিত কন্ঠহার - হুমায়রা হারুন
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: জ্যোতির্বিজ্ঞান » আলোকিত কন্ঠহার - হুমায়রা হারুন
৭৪৮ বার পঠিত
সোমবার ● ২৩ জুলাই ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আলোকিত কন্ঠহার - হুমায়রা হারুন

চিত্রটি হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে সংগৃহীত নভোমন্ডলের উজ্জ্বলতম নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণের চিত্র। যদি কিনা ১০০ মিলিয়ন সূর্য কয়েকমাস ধরে বিস্ফারিত হতে থাকে তাহলে যে প্রচন্ড আলোক আভা উৎপন্ন হবে তারই চিত্র হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ প্রথম ধারণ করেছিল ১৯৮৭ সালে। এর নামকরণ হয়েছিল SN1987A।চিত্রটি হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে সংগৃহীত নভোমন্ডলের উজ্জ্বলতম নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণের চিত্র। যদি কিনা ১০০ মিলিয়ন সূর্য কয়েকমাস ধরে বিস্ফারিত হতে থাকে তাহলে যে প্রচন্ড আলোক আভা উৎপন্ন হবে তারই চিত্র হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ প্রথম ধারণ করেছিল ১৯৮৭ সালে। এর নামকরণ হয়েছিল SN1987A , যা বিশ্লেষণ করলে সহজেই বুঝা যায়, SN = supernova, 1987 = AD, A = first.
গত চারশত বছরের মাঝে এ ধরণের উজ্জ্বল বিস্ফারণ আর দেখা যায়নি। নক্ষত্রটি ১৬৩,০০০ আলোকবর্ষ দূরে Large Magellanic Cloud নামক ছায়াপথে অবস্থিত। হিসাব করলে দেখা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ১৬১,০০০ বছর পূর্বে এই নক্ষত্রটির বিস্ফোরণ ঘটেছিল, যার আলোক রশ্মি এতটা পথ বেয়ে হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে। কোন অতিকায় নব নক্ষত্র বা সুপারনোভা,বিস্ফোরণের পর মহাকাশে ছড়িয়ে দেয় আয়রন ও কার্বনের উপাদানসমূহ, যা দিয়ে পরবর্তীতে তৈরি হতে পারে নতুন নতুন নক্ষত্র,নতুন কোন ছায়াপথ এমনকি মানব প্রজাতির রক্তকণিকার উপাদান সমূহ। SN1987A নব নক্ষত্রটি বিস্ফোরণের সময় ২০ হাজার পৃথিবীর ভরের সমান ভর সম্পন্ন আয়রন উপাদান মহাকাশে নিক্ষিপ্ত করেছিল। নক্ষত্রের ছিন্ন অংশগুলো তাদের কেন্দ্রস্থ তেজস্ক্রিয় Titanium এর কারণে এখনও আলো ও তাপ বিকিরণ করে যাচ্ছে।
হাবল্‌ চিত্র পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা সুপারনোভা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। চিত্রে দেখা গেছে সুপারনোভার পাশে প্রায় এক আলোকবর্ষ ব্যাসের রক্তিমাভ বলয়, যা কিনা বিস্ফোরণের বিশ হাজার বছর আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। এক্স রে রশ্মির বিকিরণ, বলয়টির অভ্যন্তরস্থ গ্যাসীয় উপাদানসমূহকে আরো শক্তিশালী করেছে। কেন্দ্রের গঠন অনেকটা ডাম্বেল আকারের, দৈর্ঘ্যে এক আলোক বর্ষের এক দশমাংশ। কেন্দ্রের গোলাকার পিন্ডসদৃশ বস্তু একে অপর হতে ছুটে বেড়াচ্ছে ঘন্টায় বিশ মিলিয়ন মাইল বেগে।
রক্তিমাভ বলয় নভোমন্ডলে তৈরী করেছে মুক্তা সদৃশ কন্ঠহার। হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাসট্রোফিজিক্স ইন ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসে গবেষণারত বিজ্ঞানী Robert Krishner এর মতে আলোক আভায় সজ্জিত এই বলয়টি নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণের ইঙ্গিত বহন করে, যার দীপ্তি মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে পাড়ি দিয়েছে অনেক পথ। লক্ষ আলোকবর্ষ দূর হতে ধাবমান এই আলোকময় বিচ্ছুরণ ধরা পড়েছে আমাদের স্পেস টেলিস্কোপের পর্দায়। দৃশ্যমান হয়েছে আলোকিত কন্ঠহার রূপে।

সূত্রঃ হাবল্‌ স্পেস টেলিস্কোপ, নাসা





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মহাবিশ্বের প্রারম্ভিক অবস্থার খোঁজেজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম রঙীন ছবি প্রকাশ
ব্ল্যাকহোল থেকে আলোকরশ্মির নির্গমন! পূর্ণতা মিলল আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের
প্রথম চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স এর জীবনাবসান
মঙ্গলে ইনজেনুইটি’র নতুন সাফল্য
শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নির্দেশকের সন্ধান লাভ
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
বামন গ্রহ সেরেসের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতার কারণ লবণাক্ত জল
রাতের আকাশে নিওওয়াইস ধূমকেতুর বর্ণিল ছটা,আবার দেখা মিলবে ৬,৭৬৭ বছর পরে!
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০
মহাকাশে পদার্পণের নতুন ইতিহাস নাসার দুই নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের মহাকাশে যাত্রা