বুধবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৩
প্রথম পাতা » নোবেল পুরষ্কার:পদার্থবিদ্যা » পরমানুর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কণিকার ভরের উৎপত্তি সম্পর্কে তাত্ত্বিক ধারণা প্রদানের জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
পরমানুর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কণিকার ভরের উৎপত্তি সম্পর্কে তাত্ত্বিক ধারণা প্রদানের জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
পরমানুর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কণিকার ভরের উৎপত্তি সম্পর্কে তাত্ত্বিক ধারণা প্রদানের জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন যুক্তরাজ্যের পিটার ডব্লিউ. হিগস (Peter W. Higgs) এবং বেলজিয়ামের ফ্রাঙ্কোইস অ্যাংলার্ট (François Englert)।
হিগস ও অ্যাংলার্টের তত্ত্ব অনুযায়ী চার দশকেরও বেশি সময় ধরে খুঁজে বেড়ানো মহাবিশ্বের সুষ্টির সময়কালীন হিগস্-বোসন কণার অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায় ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) এর সুইজারল্যান্ডের গবেষণাকেন্দ্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে দুই দফা চালানো পরীক্ষার মাধ্যমে। এই কণাটিই মহা বিস্ফোরণের পরে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে মহা বিস্ফোরণের ঠিক পরেই সব কণিকা ছিল ভরহীন, শুধুমাত্র শক্তি হিসেবে তাদের অস্তিত্ব ছিল। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে কণিকাগুলো ভর লাভ করে। যার ধারাবাহিক পক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের পরিচিত আজকের এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি। কাজেই হিগস্-বোসন কণার বা সদৃশ কণার অস্তিত্বের সন্ধান লাভের মাধ্যমেই ধীরে ধীরে উন্মোচিত হবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্ণ রহস্য। তাই হিগস্-বোসন কণাকে আদুরে ভাষায় ঈশ্বর কণা বলেই অভিহিত করা হয়।
ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী পিটার ওয়ার হিগস্ এবং অন্যতম বাঙালী বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বোসের নাম মিলিয়ে কণাটির নাম দেওয়া হয়েছিল হিগস বোসন। এই কণাটি ১২৫.৩০ গিগাইলেক্ট্রন ভোল্টের এবং প্রোটনের চেয়ে ১৩৩ গুণ ভারি।
১৯৩২ সালে জন্ম নেয়া ফ্রাঙ্কোইস অ্যাংলার্ট বর্তমানে বেলজিয়ামের ব্রুক্সেলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত আছেন এবং ১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া পিটার হিগস যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত রয়েছেন।
কসমিক কালচার
৮ অক্টোবর, ২০১৩