বুধবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৩
প্রথম পাতা » নোবেল পুরষ্কার: চিকিৎসা » দেহকোষে প্রোটিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক অনুর পরিবহন নিয়ন্ত্রণের কৌশল সম্পর্কে গবেষণার জন্য ২০১৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
দেহকোষে প্রোটিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক অনুর পরিবহন নিয়ন্ত্রণের কৌশল সম্পর্কে গবেষণার জন্য ২০১৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
দেহকোষে প্রোটিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক অনুর পরিবহন নিয়ন্ত্রণের কৌশল সম্পর্কে গবেষণার জন্য ২০১৩ সালের চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেমস ই. রথম্যান (James E. Rothman) ও রেণ্ডি ডব্লিউ. শেকমান (Randy W. Schekman) এবং জার্মানির টমাস সি. শুডহফ (Thomas C. Südhof)।
প্রতিটি কোষই একটি অনু উৎপাদক ও সরবরাহকারী কারখানার মতো। যেমন ইনসুলিন উৎপাদিক হয়ে রক্তে সংবহিত হয়, আবার নিউরোট্রান্সমিটার নামক রাসায়নিক সংকেত এক স্নায়ু থেকে অন্য স্নায়ুতে প্রবাহিত হয়। এইসব অনুগুলো ভেসিকল নামের ক্ষুদ্র প্যাকেজ হিসেবে কোষের সর্বত্র পরিবাহিত হয়। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীত্রয় এই কোষীয় পরিবহনে কিভাবে সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে রাসায়নিক অনুর পরিবাহিত হয় তার কৌশল আবিস্কার করেছেন।
রেণ্ডি ডব্লিউ. শেকমান ভেসিকল চলাচলের জন্য এক সেট জীনের সন্ধান দিয়েছেন। জেমস রথম্যান উদঘাটন করেছেন কিভাবে প্রোটিন মেশিনারী ভেসিকেলকে লক্ষ্য বরাবর পরিবহনে অনুমোদন দেয়। অপরদিকে টমাস শুডহফ উদঘাটন করেছেন কিভাবে সংকেতগুলো ভেসিকেলকে সঠিকভাবে তাদের অনুকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দেয়। কোষীয় এই পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটলে স্নায়ুবিক জটিলতা, ডায়াবেটিস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এই তিনজন বিজ্ঞানী কোষের শারীরবৃত্তীয় প্রাথমিক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন। এই উদ্ভাবনের ফলে জানা সম্ভব হবে কিভাবে সময়ের সাথে এবং সঠিকভাবে কোষের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থা কাজ করে। ভেসিকল পরিবহন এবং একীভবন ক্রিয়াশীল রাখার বিষয়টি একই সাধারণ নীতিতে পরিচালিত হয়। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলোর বিচিত্রতা যেমন- কোন্ ভেসিকল ফিউশন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, হরমোন নিঃসরণ ও সাইটোকিন সুরক্ষিত রাখতে ব্রেণে সংকেত প্রদান করা প্রভৃতি কারণে এই পদ্ধতিটি বেশ জটিল। ত্রুটিপূর্ণ ভেসিকল পরিবহনের কারণে নানাবিধ স্নায়বিক জটিলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের মতো শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
জেমস রথম্যান মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের হেভারহিলে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে কোষের ভেসিকেলের ওপরে গবেষণা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষ জীববিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।
রেণ্ডি শেকমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে নোবেল বিজয়ী আর্থার কোমবার্গ এর তত্ত্বাবধানে থেকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আণুবক ও কোষ জীববিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।
টমাস শুডহফ ১৯৫৫ সালে জামার্নির গোয়েটিংগেনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি স্নায়ুরসায়নে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৮ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক ও কোষীয় শারীরবৃত্ত বিভাগে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন।
কসমিক কালচার
৭ অক্টোবর, ২০১৩
বিষয়: #চিকিৎসাবিজ্ঞান #চিকিৎসাশাস্ত্র #নোবেল