শনিবার ● ২২ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » স্থানীয় বিজ্ঞান সংবাদ » বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হল ৮ম এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হল ৮ম এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড
পৃথিবী থেকে ২২ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির অবস্থান। তার মানে সেখান থেকে আমাদের পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ২২ লাখ বছর। এমনই এক গ্যালাক্সিকে খালি চোখে খুঁজে বের করার পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩৮ জন খুদে জ্যোতিবির্জ্ঞীনী। কিন্তু কেউ সফল হল। আবার কেউ খুজে না পেয়ে মন খারাপ করল। একইভাবে আকাশের নানান বস্তুগুলোকেও খুঁজে বের করতে হয়েছিল তাদের। এমনই নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের কক্সবাজারে আয়োজিত হয়েছে দিনব্যাপি ৮ম এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড।
প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজিত ক্ষুদে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার স্থানীয় আয়োজক ছিল বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাসের বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগ। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরদের জন্য ছিল এই আয়োজন। এতে অংশ নেয় চীন, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ক্ষুদে জ্যোতিবিজ্ঞানীরা। এ অলিম্পিয়াডে ৩০ জন প্রতিযোগী স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্চপদক পেয়েছে। তাত্ত্বিক, পর্যবেক্ষণ ও প্রায়োগিক এই তিন পর্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্বর্ণপদক লাভ করেছে চীনের জান্ডা লিউ, কোরিয়ার ই আংকি ও ইনচো ওয়াং। রৌপ্যপদক লাভ করেছে চীনের ইউ থিং জাই, ইনলিয়াং লি, ইং জিং জিয়াং, কাই জিয়াং ওয়াং, তিয়াং কিং জ্যাং, কোরিয়ার কিম জা হং ও পেঙ্গু সান। এবারে বাংলাদেশ আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করেছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সোয়াদ সাত্তার, নারায়ণগঞ্জের তূর্য দত্ত ও রাজশাহীর মহসিনুল কবির ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে এবং পর্যবেক্ষণ রাউন্ডে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের অপর এক প্রতিযোগী।