শনিবার ● ২২ জুন ২০১৩
প্রথম পাতা » স্থানীয় বিজ্ঞান সংবাদ » ব্লু-মুন দেখতে শীতলক্ষ্যাতীরে দর্শনার্থীদের ভিড়
ব্লু-মুন দেখতে শীতলক্ষ্যাতীরে দর্শনার্থীদের ভিড়
ব্লু-মুন বা নীল চাঁদের জোছনা উপভোগ করতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫ নম্বর সারঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ভিড় জমিয়েছিলেন চাঁদপ্রেমী দর্শনার্থীরা। সেই সাথে নীল চাঁদকে বরণ করে নেওয়ার জন্য চলছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নদীর তীরে ঢেউয়ের তালে তালে সংগীতের মূর্ছনায় জোছনা উপভোগ করেছিল বিনোদনপিপাসু দর্শনার্থীরা।
গত ৩১ আগস্ট, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে বাড়তে থাকে ভিড়। রাত যত গভীর হয়, দর্শনার্থীদের আগমন ততই বেড়েছে। দর্শনার্থীরা টেলিস্কোপের মাধ্যমে নীল চাঁদ দেখছেন। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ছিল যেন এক অন্যরকম পরিবেশ। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্লু-মুন উত্সব আয়োজন করেছিল বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। উত্সব ঘিরে নদীর তীরে বিআইডব্লিইউটিএ’র সদ্য বাঁধানো রাস্তায় বসানো হয় পাঁচটি টেলিস্কোপ। অনুষ্ঠান চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।
চাঁদ দেখতে আসা শহরের খানপুর এলাকার পায়েল চৌধুরী বলেন, নীল চাঁদের সৌন্দর্য অসাধারণ। কেউ না দেখলে তা উপলব্ধি করতে পারবে না। আর টেলিস্কোপে নীল চাঁদের সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা। নীল চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসেছেন শহরের জামতলার গৃহবধূ জান্নাত আরা। তিনি বলেন, ‘চাঁদ তো দেখি। কিন্তু নীল চাঁদ দেখার মজাটা একটু অন্যরকম। সেই সঙ্গে এই চাঁদ ঘিরে সংগীতের মূর্ছনা সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আয়োজকরা জানান, উত্সবে স্থানীয় সাংস্কৃতিককর্মীদের অংশগ্রহণে বসে কবিতা ও গানে জোছনা বন্দনার আসর। ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখানো হয় চাঁদে মানুষের প্রথম পদার্পণ বিষয়ে তথ্যচিত্র। এই আয়োজন উত্সর্গ করা হয় চাঁদে পা রাখা প্রথম মানব (সদ্য প্রয়াত) নিল আর্মস্ট্রংকে। একইসাথে চাঁদ নিয়ে নানা প্রশ্ন আলোচিত হয় এ অনুষ্ঠানে। ‘নীল জোছনা’ উপভোগ করতে নদীর পাড়ে কেন-জানতে চাইলে উত্সবের উদ্যোক্তা আসিফ বলেন, ‘মানব সভ্যতার বীজও কি নদীর তীরে নয়? ইজিয়ান সাগরের পাড়ে গড়ে ওঠা আয়োনীয় আবেগই তো আমরা বয়ে চলছি। নদী ছিল বলেই তো পিথাগোরাস বুঝতে পেরেছিলেন, পৃথিবীটা সমতল কোনো পে¬ট নয়, আসলে এ এক গোলক। নীল চাঁদ দেখতে সেই প্রাচীন আবেগই অনুভব করতে চায় মানব মন।’
# বিজ্ঞপ্তি