শুক্রবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » সূর্যগ্রহণ » সৌরকাঠামো
সৌরকাঠামো
সূর্য একটি অতিমাত্রায় উত্তপ্ত গ্যাসীয় গোলক। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে সূর্য অনবরত শক্তি উৎপাদন করে যাচ্ছে। সূর্য আবহাওয়ামন্ডল কয়েকটি স্তর নিয়ে গঠিত। নিচে উল্লেখযোগ্য স্তরগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো শুধু। সাধারণ অবস্থায় সূর্যের এই সবগুলো স্তর আমরা দেতে পাই না কিন্তু কেবলমাত্র পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়েই সবগুলো স্তর অল্প সময়ের জন্য হলেও দৃশ্যমান হয়।
আলোকমন্ডল বা Photosphere:
এটি সূর্যের দৃশ্যমান মন্ডল। আলোকমন্ডল গ্যাসের একটি পাতলা স্তর, যা ৫০০ কিলোমিটারেরও কম মোটা। এটি থেকেই আমরা সূর্যের আলোর অধিকাংশ পেয়ে থাকি। আলোকমন্ডলের নিচে গ্যাসর ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ায় তা আলো বিকিরনও করে বেশি। কিন্তু ওই আলো বাইরের দিকের গ্যাসের স্তরগুলোর জন্য সূর্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। আলোকমন্ডলের ভেতরে ও ওপরে ছড়ানো গ্যাসের মন্ডলকে বলা হয় সৌরজলবায়ু।
বর্ণমন্ডল বা Chromosphere:
আলোকমন্ডলের ওপরে ১০,০০০ কিলোমিটার পুরু গ্যাসের অদৃশ্য স্তরটিই হলো বর্ণমন্ডল। এটি আলোকমন্ডলের তুলনায় ১০০০ গুণ অস্পষ্ট তাই কেবলমাত্র পূর্ণসূর্যগ্রহণের সময়েই এটি দৃশ্যমান হয়। যখন চাঁদ ঢেকে ফেলে উজ্জ্বল আলোকমন্ডলকে তখন খুবই অল্প (কয়েক সেকেন্ড) সময়ের জন্য গোলাপি সরু রেখা রূপে ঝলকানি দিয়ে ওঠে বর্ণমন্ডল।
জ্যোতির্মন্ডল বা Corona :
বর্ণমন্ডলের ওপরে ছড়ানো স্তরটি হচ্ছে করোনা। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়ে সূর্যের চারিদিকে আমরা এই করোনাকেই উজ্জ্বল আলোকমন্ডল হিসেবে দেখতে পাই। সাধারণত করোনা পর্যবেক্ষণ করা কষ্টসাধ্য, কারণ বর্ণালীর দৃশ্যমান অঞ্চলে এর তীক্ষ্মতা বড়জোড় পূর্ণিমার চাঁদের মত, ফলে আমাদের বায়ুমন্ডলের সবখানে যখন সূর্যালোক (অর্থাৎ ফটোস্ফিয়ার) ছড়িয়ে থাকে তখন করোনাকে আলাদাভাবে সনাক্ত করা যায় না। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়ে তাই চাঁদের ছায়ায় ফটোস্ফিয়ারে বাঁধা পড়ে যাওয়ায় করোনা দৃষ্টিগোচর হয়।