বুধবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » পালনীয় দিবস » বিশ্ব জলাভূমি দিবস
বিশ্ব জলাভূমি দিবস
বিশ্বের জলাভূমিসমূহের আয়তন হ্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং জলাভূমিসমূহে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের আবাসযোগ্যতা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের আয়োজনে ইরানের রামসার শহরে ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের আয়োজনে ১৯৯৭ সাল থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস (World wetland day) পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের মে মাসে রামসার কনভেনশনে যোগ দেয় এবং নিজের জলাভূমি সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
বাংলাদেশের সুন্দরবন এবং টাঙ্গুয়ার হাওরের জলাভূমি আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে নদ-নদী, খাল-বিল-হাওড়ে সমৃদ্ধ একটি দেশ। যেখানে এই জলাভূমির রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, নিছক মাছের আবাসস্থলই নয় বরং এখানে জন্মায় প্রচুর জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী। যারা বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। কিন্তু নগরায়ন কারণে দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ জলাভূমি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ খালের মতো কাঠামোর জন্য গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে দুই কোটি ১০ লাখ হেক্টর জলাভূমি বিলীন হয়ে গেছে। উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোতে বাঁধ দেয়ার ফলে সেগুলো পরিণত হচ্ছে বদ্ধ জলাশয়ে। যা মাছের বিচরণ ও প্রজননক্ষেত্র সঙ্কুচিত করার পাশাপাশি বিরূপ প্রভাব ফেলছে পরিবেশেও। হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উনিশ শতকের শুরুর দিকে যে-চলনবিলের আয়তন ছিল ১০৮৫ বর্গকিলোমিটার, তা ১৯০৯ সালে এসে দাঁড়ায় ৩৬৮ বর্গকিলোমিটারে। আর বর্তমানে মাত্র ৮৫ বর্গকিলোমিটারে সারাবছর কমবেশি পানি থাকে।
আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এটাই আশা করব যাতে শুধু দিবস পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় তৎপর হন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ বা সরকারি সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতাই নয় প্রয়োজন সকলের সদিচ্ছা এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা।
বিভিন্ন বছরে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য -
২০১১: বনের জন্য পানি ও জলাভূমি
২০১২: