

বুধবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » অর্জন/সাফল্য » বাংলাদেশী তরুণের নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার
বাংলাদেশী তরুণের নতুন প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার
সম্প্রতি ব্যাঙের একটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশী তরুণ সাজিদ আলী হাওলাদার। ব্যাঙের এই প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘Fejervarya asmati’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ প্রজাতটি আবিষ্কার করা হয়। সাজিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে সম্প্রতি স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করেছেন। সাজিদ ফোনে আমাদেরকে জানান, তিনি ২০০৮ সালের মে মাসে ব্যাঙটির সন্ধান পান। গত বছর নতুন প্রজাতির স্বীকৃতি পাবার জন্য অন্যতম আন্তর্জাতিক জার্নাল Zootaxa তে প্রকাশের জন্য এর পাণ্ডুলিপি পাঠান, যা ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে প্রকাশ পায়।
নতুন আবিষ্কৃত ব্যাঙটির আকার ২৯.১-৩৩.৪ মিলিমিটার। এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে - পুরুষ ব্যাঙের গলার ওপর প্রজাপতি আকৃতির চিহ্ন রয়েছে। সমগ্র বাহুর দৈর্ঘ্য হাতের শতকরা ৭০ ভাগ। এদের রঙ জলপাই সবুজ থেকে সবুজাভ বাদামী হয়ে থাকে। পিঠের ওপর সাদা রঙের দাগের ওপর লাল ফোটা দেখতে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত বর্ষাকালে স্বল্প সময়ের জন্য জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। তখন এদের দেখা মেলে। অন্যান্য ব্যাঙের সঙ্গে এর কণ্ঠস্বরে লক্ষ্যণীয় পার্থক্য রয়েছে। Fejervarya প্রজাতির আরও চার প্রকারের ব্যাঙ আমাদের দেশে পাওয়া যায়। যারা হচ্ছে: F. nepalensis, F. pierrie, F. syhadrensis, and F. teraiensis।
সাজিদের বাড়ি বরিশাল জেলায়। উল্লেখ্য, ১৮৬৮ সালে ব্রিটিশ প্রাণিবিজ্ঞানী থিওবল্ড যশোর থেকে ‘ফেজারভারিয়া ফ্রিতি’ নামে ব্যাঙের আরেকটি প্রজাতি আবিষ্কার করেছিলেন।
রিপোর্ট: রমেন সমদ্দার