শনিবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩
প্রথম পাতা » অর্জন/সাফল্য » কৃত্রিম মানব অঙ্গ তৈরিতে সাফল্য অর্জন করলেন আয়েশা আরেফিন
কৃত্রিম মানব অঙ্গ তৈরিতে সাফল্য অর্জন করলেন আয়েশা আরেফিন
আয়েশা আরেফিন একজন তরুন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী। টুম্পা নামেই বন্ধু মহলে তিনি বেশি পরিচিত। যিনি কৃত্রিম অঙ্গ তৈরিতে সাফল্য অর্জন করেছেন এবং ন্যানো-প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরিতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির গবেষক ক্রিস ডেটার্স বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সফরে বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আয়েশা আরেফিন এর খোঁজ পান। ডেটার্স এবং তার সহকর্মী ল্যান্সি গ্রীনের সহায়তার আরেফিন স্নাতক ডিগ্রী অর্জন ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগ পান। বর্তমানে আরেফিন নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যানো-সায়েন্সের উপর ডক্টরেট করছেন এবং সেই সাথে লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।
আরেফিন লস অ্যালামসে গবেষনাগারে বায়োসিকিউরিটি বিভাগে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এখানে ভারতীয় বিখ্যাত বিষ-বিষেশজ্ঞ রাশি আইয়ার আরেফিনকে অপ্টোজেনিক্স গবেষণায় নিয়োগ করেন, যেখানে জীবন্ত কোষে স্নায়বিক কাজ নিয়ন্ত্রণে জিন-বিদ্যা ও প্রোটিন প্রোকৌশল ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়া দ্বারা কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু তৈরি করা সম্ভব।
আরেফিন ও তার গবেষণা সহকর্মীরা জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনে উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। ক্রণিক অবস্ট্র্যাকটিভ পালমোনারি নামক রোগের কোষীয় কৌশল জানার জন্য তারা একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেন। মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর কারণ হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগ হিসেবে এটি বিবেচিত। আয়েশা আরেফিন একইসাথে বিভিন্ন স্নায়বিক রোগ নিয়ে গবেষণা করছেন।
গবেষণাগারের বাইরে গিয়ে মানুষকে সাহায্য করতে প্রত্যয়ী আরেফিন। আরেফিন যখন বাংলাদেশে ছিলেন তখন তিনি নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য এবং এইডস ফ্যামিলি সাপোর্ট সেন্টারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার ইচ্ছে নিজ দেশে ফিরে এসে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের যেখানে শিশুরা বিনামূল্যে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। তিনি বিশ্বাস করেন ভাগ্য ও কাছের মানুষদের সহায়তায় তিনি এই সাফল্য পেয়েছেন।
ওয়েবসাইটে দেয়া এক তথ্যে তিনি জানান, “আমি একটি গবেষণাগার, সংশ্লিষ্ট মানুষদের এবং ভিন্ন কিছু করার সুযোগ পেয়েছি বলে সত্যি কৃতজ্ঞ এবং আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠার জায়গা এটি। এখানে বিভিন্ন দেশের প্রচুর শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা আমার চেয়ে ভালো। এখানে থাকতে পেরে আমি সৌভাগ্যবতী।”
সূত্র: লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির ওয়েবসাইট http://www.lanl.gov
আগস্ট, ২০১৩