শনিবার ● ২৫ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » পালনীয় দিবস » বিশ্ব বাঘ দিবস
বিশ্ব বাঘ দিবস
২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বিশ্ব বাঘ সম্মেলন। এই সম্মেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখনো বাঘ টিকে আছে এমন ১৩টি দেশে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাঘ টিকে থাকা ১৩টি দেশ হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও রাশিয়া।
জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৮৭ সালে অতি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে বাঘ কিংবা বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাঘ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নিলেও সুন্দরবনে বাঘের মৃত্যু আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। ১৯৮০ থেকে ২০১২ সালের জুলাই পর্যন্ত গত ৩২ বছরে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় শিকারিদের হানা, গ্রামবাসীর পিটুনি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৬৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন বছরে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য -
২০১৫: বাঘ বাঁচলে বাঁচবে বন, রক্ষা হবে সুন্দরবন
২০১৩: বাঘ বাঁচান, মায়ের মতো সুন্দরবন রক্ষা করুন
২০১২: সুন্দরবন বাঁচান, বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে
অতিরিক্ত তথ্য:
- জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০০৪ সাল থেকে বাঘ শুমারি পরিচালিত হয়। ২০০৪ সালে পায়ের ছাপ নিয়ে তৈরি করা শুমারি অনুযায়ী, ৬০০০ বর্গ কিলোমিটারের সুন্দরবনের ৪৪০ টি বাঘ রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়। ৪৪০টি বাঘের মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং ২১টি শাবক রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগে ২৭১টি এবং পূর্ব বন বিভাগে ১৬৯টি বাঘ রয়েছে।
- ২০১৩ সাল পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪০০০ বাঘ আছে বলে ধারণা করা হয়৷
- বাংলাদেশে ২০১০ সালে ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ (ডব্লিউটিবি) সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মুন্সীগঞ্জে প্রথম বাঘ দিবস পালিত হয়।
২০১৫ সাল:
সম্প্রতি বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘ শুমারি অনুসারে বাঘের সংখ্যা এখন মাত্র ১০৬টি।