বুধবার ● ১৯ মার্চ ২০১৪
প্রথম পাতা » স্থানীয় বিজ্ঞান সংবাদ » বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের মহাবিশ্ব
বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের মহাবিশ্ব
মহাবিশ্বে মানুষের জীবন অনেকটা প্রজাপতির মতো। যে কোনো সময় যা কিছু ঘটে যেতে পারে যে জীবনে। অল্পায়ুর এই জীবনে নিজের ভাগ্যলিপিতে কী লেখা আছে মানুষ তার অনেক কিছুই পড়তে পারে না। অথচ বাংলার বিজ্ঞানী, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম জেনে গিয়েছিলেন মহাবিশ্বের ভাগ্য। মহাবিশ্বের অন্তিম পরিণতি কী হবে নিয়ে তার লেখা দ্য আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স প্রকাশ করেছিল কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বইটি পড়ানো হয়। পৃথিবীর বাঘা বাঘা পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, অর্থনীতিবিদ, নোবেল বিজয়ীরা ছিলেন জামালের বন্ধু, সহপাঠী, সহকর্মী। আপেক্ষিক তত্ত্বকে ঘিরে দীর্ঘ ৪০ বছর গবেষণা করার উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল। কেমব্রিজের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজ নেন। পৃথিবীর সেরা গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানীরা এখানেই তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। কিন্তু কেন জামাল ফিরে এসেছিলেন এই বাংলায়? বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই প্রশ্নকে ঘিরেই গতকাল ১৬ মার্চ চট্টগ্রামের ফুলকি শিক্ষাঙ্গনে আবর্তন ঘটলো বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার বিজ্ঞানবক্তা আসিফের বিজ্ঞানবক্তৃতা। এতে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক সহ তিন শতাধিক বিজ্ঞানমনস্ক দর্শক উপভোগ করেন আসিফের এই বক্তৃতা। ডিসকাশন প্রজেক্টের ৬৩তম এই ওপেন ডিসকাশনের শেষে কৌতুহলী দর্শক-শ্রোতার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর করেন আসিফ। তিনি বলেন, ‘আমার মাঝে মাঝে মনে হয় প্রবল ভিড়ে চলন্ত ট্রেনের পাহাড়ী পথে একাকী ধ্রুপদী সংগীতের মগ্নতায় অথবা কখনো কর্ণফুলির স্রোতধারায় ভাসতে ভাসতে জামাল নজরুল ইসলাম শেকড়ের খোঁজেই ফিরে এসেছিলেন এই বাংলায়।’