

শুক্রবার ● ১০ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » শ্রদ্ধা ও স্মরণ » অধ্যাপক শিশিরকুমার ভট্টাচার্য এর পরলোকগমন
অধ্যাপক শিশিরকুমার ভট্টাচার্য এর পরলোকগমন
অধ্যাপক, গবেষক, লেখক শিশির কুমার ভট্টাচার্য ১০ জুলাই ২০২০ খ্রি. সকাল সাড়ে ৮টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পরলোকগমন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
শিশিরকুমার ভট্টাচার্যের জন্ম বরিশালের ধামুরা গ্রামে ১৯৪০ সালের ২৫শে এপ্রিল। তিনি খুলনার বিএল কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি পাশ করেন ১৯৬৩ সালে। এরপর লন্ডনের কুইনমেরি বিশ্ববিদ্যলয় থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানে ডক্টরেট করা প্রথম দিকের বাংলাদেশীদের একজন। জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করেছেন, তৈরি করেছেন নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু প্রক্রিয়ার একটা মডেল। সে বিষয়ক তাঁর একটা মৌলিক গবেষণা প্রবন্ধ ১৯৮০ সালে বিশ্বখ্যাত অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস জার্নালে প্রকাশিত হয়, তারপর তিনি দেশে ফিরে আসেন। প্রথমে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। পরে একই বিভাগের অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।
অবসরের পর শিশিরকুমার ভট্টাচার্য বিজ্ঞান লেখালেখিতে মনোযোগ দেন। বার্ধক্য আর পারকিনসনের মতো দুরারোগ্য রোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে লিখেছেন তিনি এ পর্যন্ত দশটির বেশি বই প্রকাশ হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মানুষ ও মহাবিশ্ব (২০০৪), মহাজাগতিক মহাকাব্য (২০১০), কালের প্রকৃতি ও অন্যান্য (২০১৩), সৃষ্টির মহান পরিকল্পনা (২০১৫), সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ (২০১৫), ব্ল্যাকহোল (২০১৬) এবং ছোটোদের বড়োদের মহাবিশ্ব (২০১৮)। তার এ বইগুলোর মধ্যে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের দ্য গ্রান্ড ডিজাইন বইটিকে বাংলায় ভাষান্তর করেছেন সৃষ্টির মহান পরিকল্পনা নামে, অন্য বইগুলো মৌলিক রচনা। তার লেখনীতে রয়েছে বিশেষজ্ঞতা ও স্বতঃস্ফূর্ততার ছাপ।
The Monthly Notices of Royal Astronomical Society নামক গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ নিম্মরূপ:
Evolution of young stars with mass accretion
The theoretical HR diagram for a cluster of stars with mass accretion
On the pre-main-sequence evolution of stars with mass accretion
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, গবেষক গোলাম মুরশিদ