বুধবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: প্রকৃতি ও পরিবেশ » পৃথিবীর গভীরতম অংশে বিস্ময়কর পরিমান প্রাণের অস্তিত্ব
পৃথিবীর গভীরতম অংশে বিস্ময়কর পরিমান প্রাণের অস্তিত্ব
ভূপৃষ্ঠের গভীরের অন্ধকার, উচ্চ চাপের পরিবেশে জীবনের অস্তিত্ব অপ্রত্যাশিত। কিন্তু বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল ভুপৃঠের তলদেশে ১৬.৫ থেকে ২০ বিলিয়ন টন অণুজীবের প্রমান পেয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে। দলের এই কৃতি বাসযোগ্য পরিবেশের সংজ্ঞার একটি নতুন রূপ দিবে।
নক্সভিলে ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসির অণুজীব বিজ্ঞানী কেরেন লয়েড এই আবিষ্কার সম্পর্কে বলেন, “কেমন পরিস্থিতিতে একটি জীব বিদ্যমান থাকতে পারে তা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।”
লয়েড ডিপ কার্বন অবসেরভেটরির (ডিসিও) সদস্য, যাতে বিশ্বজুড়ে ১০০০ এর বেশি ভূবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, পদার্থ এবং জীববিজ্ঞানীরা যৌথভাবে কাজ করেন, ভুপৃষ্ঠতলের জীবনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য। তাদের মিশন পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা কার্বন কিভাবে উপরিতলের জীবনকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান করা।গবেষকরা বিশ্বজুড়ে শতশত এলাকা নিরীক্ষা করেন, সাউথ আফ্রিকার সোনা আর হীরার খনি খনন করেন, সমুদ্রের তলদেশে দেড় মাইল গভীর পর্যন্ত খনন করেন। এ পর্যন্ত তারা ভুপৃঠের ৩ মাইল গভীরেও বিপুল পরিমান জীবনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন| এই সমৃদ্ধ বাস্তুসংস্থানের একটি নাম ও দিয়েছেন তারা, “দা ডিপ বিওস্ফেয়ার” বা ‘গভীর জীবমন্ডল’।
“যতবারই আমরা এই বিসদৃশ পরিবেশে তাকাই, ততবারই প্রাণের প্রমান পাই” লয়েড বলেন| কিছু কিছু অণুজীব প্রচন্ড উত্তাপ (২৫১ ডিগ্রী ফারেনহাইট) পর্যন্ত সহ্য করতে পারে, যা প্রায় অবিশাস্য, কেউ কেউ প্রায় কোনো পুষ্টির উপাদান ছাড়াও দিব্বি বেঁচে থাকতে পারে| গবেষকরা মনে করছেন তাদের এই আবিষ্কার পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সম্ভাব্যতার আশা দেখাতে পারে।