মঙ্গলবার ● ১৪ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: মহাকাশ » ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে চাঁদ
ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে চাঁদ
নাসা’র লুনার রকোনিসেন্স অর্বিটার থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন চাঁদ সময়ের সাথে ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে পড়ছে। বিজ্ঞানীরা এর কারণ হিসেবে চন্দ্রপৃষ্টের কুঞ্চিত হয়ে যাওয়া এবং চন্দ্রকম্পকে (ভূমিকম্প) দায়ী করছেন।
পৃথিবীর মতো চাঁদে কোন টেকনোটিক প্লেট নেই। এর পরিবর্তে, চাঁদ এর অভ্যন্তর গত কয়েকশো বছর ধরে শীতল হয়ে যাওয়ায় এটি পৃষ্ঠ সঙ্কুচিত হচ্ছে। ব্যাপারটিকে তুলনা করা যেতে পারে আঙ্গুর ফল শুকিয়ে কুঁচকে যাওয়া কিসমিসের সাথে। চাদেঁর ক্ষেত্রেও পৃষ্ঠের সংকোচন ঘটছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে হাজার হাজার পাহাড় ছড়িয়ে পড়েছে, যেগুলো গড়ে কয়েক মাইল পর্যন্ত লম্বা। নাসা’র অরবিটারটি ২০০৯ সাল থেকে ৩,৫০০ এরও বেশি ছবি তুলতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, চাঁদ এই কারণে বর্তমানে প্রায় ৫০ মিটারের মতো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে ফাটল দেখা দিচ্ছে। চাঁদ সংকুচিত হওয়ার ফলে ঘটছে চন্দ্রকম্প। যা কখনো কখনো রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার। অ্যাপোলো ১১, ১২, ১৪, ১৫ এবং ১৬ মিশনের সময়ে চাঁদে সিসমোমিটার স্থাপন করা হয়েছিল, যেগুলো ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২৮টি চন্দ্রকম্প রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে অন্তত আটটি কম্পন ঘটেছে ফাটলের কারণে। গত ১৩ মে ন্যাচারাল জিওসায়েন্স জার্ণালে এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
লুনার রকোনিসেন্স অর্বিটার প্রকল্পের বিজ্ঞানী জন কেলার বলেন, “প্রায় ৫০ বছর আগে এবং অরবিটার মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমাদেরকে চাঁদের সম্পর্কে জানার অগ্রগতিকে কীভাবে সমন্বয় করেছে, যা পরবর্তী মিশনগুলোতে চাঁদের অভ্যন্তরভাগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষণায় তথ্য যোগাবে তা সত্যিই বেশ অসাধারণ”। গবেষকরা বিশ্বাস করেন চন্দ্রকম্প এখনও চাঁদে ঘটে চলেছে, যার ফলে এটি সক্রিয়ভাবে চাঁদের আকৃতির পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
১৪ মে, ২০১৯
সূত্র: সিএনএন, নাসা