রবিবার ● ১২ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: মহাকাশ » সূর্যকে স্পর্শ করতে যাত্রা করল নাসা’র পার্কার
সূর্যকে স্পর্শ করতে যাত্রা করল নাসা’র পার্কার
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য সৌর প্রোব পার্কার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ১২ আগস্ট ২০১৮ খ্রি. বাংলাদেশ স্থানীয় সময় দুপুর ০১.৩১ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। সূর্য অভিযানে যাওয়া এই যানটি মানব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গতির মহাকাশ যান।
যানটি সূর্যের ৬০ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে গিয়ে পৌঁছাবে এবং সূর্যের এত কাছাকাছি এর আগে কোন যানই যেতে পারে নি। এই প্রথম কোন মহাকাশযানের নাম জীবিত কারো নামে করা হল। বিখ্যাত জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞাী ইউজেন পার্কার ১৯৫৮ সালে সৌরবাতাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পোষণ করেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯১ বছর। উৎক্ষেপণ দেখে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘কী দারুন! আমরা এখানে যাচ্ছি। আগামী কয়েক বছরে আমরা অনেক কিছুই শিখতে যাচ্ছি।’
ডেলটা-IV হেভী রকেটের মাধ্যমে প্রোবটি মহাকাশে পাঠানো হয়। গতকাল এটি উৎক্ষেপণের কথা থাকলে্ শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিল করা হয়। উৎক্ষেপণের ঘণ্টাখানেক বাদে নাসা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে এটি সফলভাবে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী ড. নিকি ফক্স বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছি ৬০ লাখ কিমি দূরত্বকে কখনই নিকট দূরত্ব বলে মনে হবেনা, কিন্তু যদি ধরে নেয়া হয় ভূপৃষ্ঠ এবং সূর্যের দূরত্ব এক মিটার, তাহলে প্রোব সূর্য থেকে মাত্র ৪ সেমি দূরে থাকবে। এটি সূর্যের ৩.৮ মিলিয়ন মাইল পর্যন্ত কাছে অবস্থান করে সূর্যের চারদিকে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৪৩০,০০০ মাইল পর্যন্ত গতিতে ঘুরবে। অর্থাৎ এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে লাগবে এক মিনিটেরও কম সময়।”
এই অভিযানের মাধ্যমে করোনার আবহমণ্ডল, বিশেষ করে সৌরঝড় ও সূর্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে।