সোমবার ● ১০ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: বিশ্ব পরিক্রমা » রাতের আকাশে উল্কার ঝলকানি: ১১-১৩ আগস্ট পারসেইড উল্কাবৃষ্টি
রাতের আকাশে উল্কার ঝলকানি: ১১-১৩ আগস্ট পারসেইড উল্কাবৃষ্টি
অন্ধকার রাতের আকাশে আগুনের গোলার মতো চটজলদি ছুটে যাওয়া উল্কা আমরা কম-বেশি সবাই দেখে থাকি। কিন্তু বছরের কোন কোন নির্দিষ্ট সময়ে অগণিত সংখ্যক উল্কা পতন দেখা যায়, যেটি আমাদের কাছে উল্কাবৃষ্টি নামে পরিচিত। প্রতি বছর জুলাই ১৭ থেকে আগস্ট ২৪ এর মধ্যে রাতের আকাশে পারসেইড উল্কাবৃষ্টি ঘটে থাকে। তবে আগস্টের ৯-১৩ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারসেইড উল্কাবৃষ্টি দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে এই সময়টিতে, বিশেষ করে ১৪ আগস্ট অমাবস্যা থাকায় উল্কাবৃষ্টি পর্যবেক্ষণে বাড়তি সুবিধা যোগ হয়েছে। তবে এবছর ১১, ১২ ও ১৩ আগস্ট খুব ভালোভাবে এই উল্কা পতন দেখা যাবে। আকাশ অন্ধকার থাকলে প্রতি ঘন্টায় ৬০ থেকে ১০০টি উল্কা পতন দেখা সম্ভব। এসময় এই উল্কাপিন্ড ঘন্টায় ১৩৩,২০০ মাইল গতিতে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। উল্কাপিন্ডগুলো ভূপৃষ্টে পৌঁছার আগেই বায়ুমন্ডলের সাথে ঘর্ষনে নিঃশেষ হয়ে যায়। সাধারণত একটি উল্কাপিন্ডও ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে না।
পারসিউস নক্ষত্রমন্ডলের নামানুসারে এই উল্কাবৃষ্টির নাম পারসেইড। কারণ এই উল্কাবৃষ্টির উৎপত্তি স্থল পারসিউস নক্ষত্রমন্ডলেই। আর পারসেইড উল্কাবৃষ্টির উৎপত্তি সুফইট টাটল ধূমকেতু থেকে। প্রতি বছর আগস্টের মধ্যবর্তী সময়ে পৃথিবী তার মহাজাগতিক পথ পরিক্রমায় সুফইট টাটল ধূমকেতুর কক্ষপথের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে। সুফইট টাটল ধূমকেতুর লেজের অবিশিষ্টাংশ থেকেই উৎপত্তি ঘটে উল্কার। সুফইট টাটল ধূমকেতুটি ১৩৩ বছরে একবার নিজ কক্ষপথের ঘূর্ণন সম্পন্ন করে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে এটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। পরবর্তী ২১২৬ সালে আবার এমনটি ঘটবে।
উল্কাবৃষ্টি পর্যবেক্ষণে আগ্রহীরা মধ্যরাতের পরে চোখ রাখতে পারেন আকাশের উত্তর-পূর্ব দিকে।
০৯ আগস্ট, ২০১৫
সূত্র: নাসা, স্কাই এন্ড টেলিস্কোপ