রবিবার ● ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ: মহাকাশ » গড়ে প্রতি পাঁচটি নক্ষত্রের একটিতে রয়েছে পৃথিবী সদৃশ গ্রহ
গড়ে প্রতি পাঁচটি নক্ষত্রের একটিতে রয়েছে পৃথিবী সদৃশ গ্রহ
ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা পরিসংখ্যানগত এক সমীক্ষায় আমাদের গ্যালাক্সিতে সূর্য সদৃশ নক্ষত্রের মধ্যে শতকরা বিশ ভাগের পৃথিবী আকারের গ্রহ রয়েছে এবং সেখানে জীবনের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে সিদ্ধান্ত দেন। নাসা’র কেপলার মহাকাশযান ও কেক অবজারভেটরি থেকে প্রাপ্ত যৌথ উপাত্তের ভিত্তিতে ৪ঠা নভেম্বর প্রেসডিংস অব দি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। কেপলারের মিশন শেষে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্রের মধ্যে বাসযোগ্য গ্রহের সংখ্যাগত পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।
নাসার মতে, প্রতি পাঁচটি নক্ষত্রের মধ্যে একটির পৃথিবী সদৃশ গ্রহ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য জীবনধারণের প্রয়োজনীয় শর্ত হিসেবে পৃথিবী আকারের গ্রহ বা পৃথিবীর কক্ষপথের সমান আকার অপরিহার্য নয়, এমনকি গ্রহগুলো যদি কোন বাসযোগ্য পরিবেশেও থাকে যেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয় বা খুব ঠান্ডাও নয়। গবেষক দলের সদস্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক জেফরি মার্সির মতে, ‘কোন কোন গ্রহের পাতলা বায়ুমণ্ডল থাকায় এদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অত্যধিক থাকে, ফলে ডিএনএ অনুসমূহ টিকে থাকতে পারে না। আবার কারো হয়তো পাথুরে পৃষ্ঠ রয়েছে যা জীবনের টিকে থাকার জন্য পানির অস্তিত্ব ধারণ করতে পারে। আসলে আমাদের এখনো সঠিকভাবে জানা নেই জীবনধারণের জন্য গ্রহের ধরণ এবং তার পরিবেশ কি রকম সীমার মধ্যে থাকতে পারে।’ এই রকম গ্রহদের বেশিরভাগই পাথুরে বলে গবেষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কেপলার ও কেক অবজারভেটরির উপাত্ত বিশ্লেষণকারী এরিক পেটিগুরা উল্লেখ করেন, ‘যখন আপনি রাতের আকাশে হাজারো নক্ষত্রের দিকে তাকান, তখন পৃথিবী আকারের গ্রহ ধারণকারী সূর্য সদৃশ নিকটবর্তী নক্ষত্রটি আপনার থেকে মাত্র ১২ আলোকবর্ষ দূরে অবিস্থত, যা খালি চোখেই দেখা সম্ভব। এটা সত্যিই আশ্চর্যের ব্যাপার।’ সম্প্রতি পৃথিবী সদৃশ একটি গ্রহ আবিস্কৃত হয়েছে, অবশ্য এর পৃষ্টদেশের তাপমাত্রা ২০০০ কেলভিন, যা জীবনধারণের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। পৃথিবী এবং অন্যান্য পাথুরে গ্রহের অন্তিম অবস্থায় এমনটাই ঘটবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। সেকারণে এই ধরণের আবিস্কার পৃথিবীর ভবিষ্যত ও প্রাণের বিকাশের সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
সূত্র: কেক অবজারভেটরি