বুধবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
প্রথম পাতা » জীববিজ্ঞান, প্রকৃতি ও নিসর্গ » অব্যক্ত - আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
অব্যক্ত - আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
![]()
তাম্রলিপি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলা অনুবাদ সংস্করণ সম্পাদনা
বাংলা সংস্করণ সম্পাদনা: আসিফ
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৪
মূল্য: ১৬০ টাকা
পৃষ্ঠা: ১২৮
প্রচ্ছদ: যোয়েল কর্মকার
ISBN: 984-70096-0240-5
জগদীশচন্দ্র বসুর ‘অব্যক্ত’ গ্রন্থটি পড়লে জগদীশচন্দ্র বসুর দৃষ্টিভঙ্গিগুলো বুঝতে অনেক সহজ হয়। অব্যাক্ত গ্রন্থটা ছোট। প্রবন্ধগুলোও কিছুটা অগোছালো। কিন্তু কথাগুলো অনেক অন্তরের এবং গভীতর আত্মবিশ্বাস থেকে উঠে আসা। উঠে এসেছে বাংলার জল হাওয়া কাদা থেকে। জগদীশ’র- লেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে নিয়ে যায় আর্কিমিডিসের কাছে। বিশেষত তার মেথড গ্রন্থটির (খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০সালে) কথা মনে করিয়ে দেয়। আর্কিমিডিস এই গ্রন্থটিতে তাঁর আবিষ্কারগুলোর ব্যাখ্যা দেননি, দিয়েছন কী পদ্ধতিতে সেই আবিষ্কার করলেন তার। কেন তার এরকম মনে হল, কেন তাতে আগ্রহ জন্মালো। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এ ধরনের রচনা একটি অসাধারণ ঘটনা। জগদীশচন্দ্র বসুর অব্যক্ত গ্রন্থটিও অনেকটা তাই। তার চিন্তাগুলোর সূচনা কিভাবে হয়েছে, সেগুলো অন্যদের কাছে বিরক্তিকর মনে হলেও তিনি তা নিয়ে নিরন্তর কাজ করে গেছেন। তাঁর এই গ্রন্থটি বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তার বিশ্বকে ধারণ করলেও ওটি পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবে যে, এটি বাংলার মাটির গন্ধ নিয়েই লেখা হয়েছে। তিনি এক জায়গায় লিখেছেন, ‘তাঁর বিজ্ঞানমন্দিরে সাফল্য দিতে হবে জগতকে, কোনোটিরই গোপনীয়তা বা প্যাটেন্ট করে রাখা চলবে না, কেননা বিজ্ঞানের সেইটিই একমাত্র ভালো যা সকলকে দেওয়া যায়, যা গোপন করতে হয়, তাই মন্দ।’
জনবোধ্য বিজ্ঞানের বই হিসেবেও বাংলায় লেখা ‘অব্যক্ত’ তাঁর এক অসাধারণ গ্রন্থ। যুক্তকর, আকাশ স্পন্দন ও আকাশ-সম্ভব জগৎ, গাছের কথা, উদ্ভিদের জন্ম ও মৃত্যু, অদৃশ্য আলোক, ভাগীরথীর উৎস-সন্ধানে, বিজ্ঞানে সাহিত্য, নির্ব্বাক জীবন, স্নায়ুসুত্রে উত্তেজনা প্রবহসহ অনেকগুলো প্রবন্ধ আছে। যেগুলো লিখতে শুধু যুক্তিবোধ কাজ করেনি, করেছে গভীর উপলব্ধিবোধ। তিনি বাংলাভাষায় প্রথম সায়েন্স ফিকশন লেখেন… পলাতক তুফান (১৯৩৭)। এই গল্পটি অব্যক্ত গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত হয়। ‘অব্যক্ত’ প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সালে। বাংলা সংস্করণ সম্পাদনায় বইটিকে নির্ভুলভাবে প্রকাশের বিষয়টি দেখা হয়েছে, বইটি পাঠ কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বলা চেষ্টা করা হয়েছে।





ফুলগুলি যেন কথা - দ্বিজেন শর্মা
গহন কোন বনের ধারে - দ্বিজেন শর্মা 