বৃহস্পতিবার ● ২৩ আগস্ট ২০১২
প্রথম পাতা » অমাবস্যা-পূর্ণিমা » পূর্ণিমার পুরাণাখ্যান
পূর্ণিমার পুরাণাখ্যান
প্রাচীন প্রধান ধর্মগুলোতে পূর্ণিমার উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে খ্রিষ্টীয়ান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে পূর্ণিমাকে আমরা দেখতে পাই বিশেষ নির্দেশক রূপে। বাইবেলের পুরাতন নিয়মের তৃতীয় পুস্তক “লেবীয় পুস্তক” অনুসারে আমরা দেখতে পাই সেখানে সুস্পষ্টভাবে দুইটি প্রধান পবিত্র পর্বের উল্লেখ রয়েছে, যা পূর্ণিমার সাথে মিল রেখে করা হয়েছিল। এর একটি নিস্তারপর্ব (Passover) এবং অন্যটি প্রায়শ্চিত্তকালীন পর্ব (Sukkot)।
বাইবেলের পুরাতন নিয়মের তৃতীয় পুস্তক “লেবীয় পুস্তক” এর ২৩ অধ্যায় ৪-৭ পদে লেখা রয়েছে:
“তোমরা নিরূপিত সময়ে যে সকল পবিত্র সভা ঘোষণা করিবে, সদাপ্রভুর সেই সকল পর্ব এই। প্রথম মাসে, মাসের চতুর্দশ দিবস সন্ধ্যাকালে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব হইবে। এবং সেই মাসের পঞ্চদশ দিবসে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাড়ীশূন্য রুটির উৎসব হইবে; তোমরা সাত দিন তাড়ীশূন্য রুটি ভোজন করিবে। প্রথম দিবসে তোমাদের সভা হইবে; তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম করিব না।”
“লেবীয় পুস্তক” এর ২৩ অধ্যায় ৩৩-৩৫ পদে আরও লেখা রয়েছে:
“আর সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি ইস্রায়েল সন্তানগণকে বল, সপ্তম মাসে, সেই মাসের প্রথম দিনে তোমাদের বিশ্রামপর্ব এবং তুরীধ্বনি সহযুক্ত স্মরণার্থক পবিত্র সভা হইবে। তোমরা কোন শ্রমসাধ্য কর্ম করিবে না, কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করিবে।”
সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, বাইবেলে মাসের শুরু হতো অমাবস্যার দিন থেকে এবং দিনের শুরু ধরা হতো সূর্যাস্ত থেকে। কাজেই বাইবেলের মাসের হিসেবে চৌদ্দতম দিনের সন্ধ্যা থেকে পনেরোতম দিন পর্যন্ত হতো পূর্নিমা।