বৃহস্পতিবার ● ২৩ আগস্ট ২০১২
প্রথম পাতা » অমাবস্যা-পূর্ণিমা » অমাবস্যা-পূর্ণিমার রসায়ন
অমাবস্যা-পূর্ণিমার রসায়ন
চাঁদ নিজ অক্ষের উপর আবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবীকেও প্রদক্ষিণ করে চলছে। নক্ষত্রের পটভূমিতে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে চাঁদের সময় লাগে ২৭.৩ দিন। এটি হচ্ছে চাঁদের নাক্ষত্রিক কাল বা সিডেরিয়াল পিরিয়ড। তখন সূর্য প্রতিদিন ১ ডিগ্রী করে পূর্ব দিকে এগুতে থাকে। অর্থাৎ এই সময়ে পৃথিবীও নিজের কক্ষপথে ১ ডিগ্রী করে এগিয়ে যায়। এ কারণে চাঁদ ২৭.৩ দিনে তার পূর্বের নতুন চাঁদের অবস্থায় যেখানে ছিল আকাশের সেই অবস্থানে ফিরে এলেও সূর্য ততদিনে ২৭ ডিগ্রী পূর্বে এগিয়ে গেছে। তাই সূর্যের পটভূমিতে চাঁদকে নিজের কলা পূর্ণ করবার জন্য এই অতিরিক্ত ২৭ ডিগ্রী পরিভ্রমন করতে হয়। এর জন্য চাঁদের সময় লাগে ২৯ দিন ১২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট ৩ সেকেন্ড বা সহজভাবে বললে ২৯.৫ দিন, যা সাইনোডিক পিরিয়ড।
নতুন চাঁদের দিন অর্থাৎ অমাবস্যা থেকেই চাঁদের মাস গনণা করা হয়ে থাকে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের সাথে সাথে চাঁদের কলা পরিবর্তিত হতে থাকে। অমাবস্যার দিন চাঁদ সূর্যের মুখোমুখি অবস্থান করায় পৃথিবী থেকে চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন পিঠটি আমরা দেখতে পাই। এদিনের পর থেকে চাঁদ সূর্যের মুখোমুখি অবস্থান থেকে একটু একটু সরে যেতে থাকে। শুরু হয় শুক্লপক্ষ। সপ্তম দিনে চাঁদ সূর্য থেকে ৯০ ডিগ্রী সরে যায়। তখন আমরা অর্ধেক চাঁদ দেখতে পাই। চৌদ্দ থেকে পনেরোতম দিনে আমরা পূর্ণিমা দেখতে পাই। এসময়ে চাঁদ সূর্যের বিপরীত দিকে অবস্থান করায় পৃথিবী থেকে চাঁদের আলোকিত পিঠকে দেখা যায়। এদিনের পর থেকে শুরু হয় কৃষ্ণপক্ষের। পরিবর্তিত হতে শুরু করে চাঁদের কলা। বাইশতম দিনে চাঁদ তার কক্ষপথের তিন চতুর্থাংশ পরিভ্রমন সম্পন্ন করে। তখন চাঁদের অর্ধেকটা আলোকিত দেখা যায়। ২৯.৫ দিনে পূর্ণ হয় একটি চান্দ্র মাস। আবার নতুন চাঁদের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় নতুন আরেকটি চান্দ্র মাসের।