শনিবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: বিবর্তনের পথে » মানুষের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পরিলক্ষিত সাংস্কৃতিক এবং অস্থিগত বৈশিষ্ট্যসমূহ
মানুষের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পরিলক্ষিত সাংস্কৃতিক এবং অস্থিগত বৈশিষ্ট্যসমূহ
মানুষের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পরিলক্ষিত সাংস্কৃতিক এবং অস্থিগত বৈশিষ্ট্যসমূহ (ধারাবাহিকভাবে)
আদিম অ্যানথ্রাপয়েড বানর ও ক্যাটারাইন বানরদের পূর্বপুরুষ
- এরা গাছে বাস করত এবং গাছপাতা, ফুল, ফলমূল খেতে অভ্যস্ত ছিল।
- এরা চার পায়ে চলাফেরা করত।
- ড্রায়োপিথেকাসরা ঘন জঙ্গলে গাছে বাস করত এবং গাছপাতা, ফলমূল ও বাদাম ইত্যাদি খেতে অভ্যস্থ ছিল।
রামাপিথেকাসরা বীজ, ঘাস, রাইজোম, রসাল গাছপালা - কন্দ খেত।
- রামাপিথেকাসের সামনের ছেদক দন্ত ছিল অপেক্ষাকৃত ছোট এবং অনুমান করা হয় এরা হাত দিয়ে খাবার খেত অর্থাৎ এরা হাঁটাচলার কাজে হাতকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পেরেছিল। এর থেকে ধারণা করা হয় এরা দুপায়ে হাঁটতো। এরা গাছ থেকে ভূমিতে নেমে এসেছিল।
- এরা পড়ে থাকা পাথরের টুকরা আর গাছের ডালকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করত, কিন্তু পাথর দিয়ে অস্ত্র তৈরি করার পদ্ধতি জানতো না।
ধারণা করা হয় এরা আগুনের ব্যবহার জানতো না।
- এদের করোটির আকৃতি এবং মুখমন্ডল গঠনবৈশিষ্ট্যে অনেকটাই বনমানুষের মতো ছিল। কিন্তু এদের কপালের গঠন, অক্ষিকোটরের অবস্থান, ফোরামেন-ম্যাগনাম ৫০০ ঘন সেন্টিমিটার।
- সম্ভবত এরাই প্রথম পাথরের অস্ত্র নির্মাতা।
- এদের মস্তিস্কের আয়তন অস্ট্রালোপিথেকাস থেকে বেশি ছিল। এদের উচ্চতা মোটামুটি ১.২৫ মিটার এবং ওজন ছিল ৪০ থেকে ৫০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি।
- এরা অত্যন্ত নিম্নমানের পাথরের অস্ত্র তৈরি করত। সেগুলি ছিল আকৃতিতে ভারী এবং বেশ বড়। এরা আগুনে মাংস পুড়িয়ে খেতে শিখেছিল।
- এদের মস্তিস্কের আয়তনও অপেক্ষাকৃত ছোট, ৭৫০ থেকে ১২০০ ঘন সেন্টিমিটার। অক্ষিকোটর গোলাকৃতি এবং বড়। কপালের গঠন বন মানুষের মত। দাঁত ছিল অত্যন্ত অনুন্নত এবং গঠনাকৃতি ছিল অত্যন্ত বড়। তবে এদের উরুর হাড়ের গঠন অনেকটাই আধুনিক যুগের মানুষদের মত ছিল। এরা দুপায়ে হাঁটতে পারতো।
হোমো স্যাপিয়েন্স নিয়ানডারথ্যালেনসিস
- এরা গুহায় বাস করত। এরা পাথরের পাশাপাশি হাড়, শিং, দাঁত প্রভৃতি থেকে অস্ত্র তৈরি করতে শিখেছিল। এরা আগুন জ্বালাতে সক্ষম ছিল এবং আগুনে পুড়িয়ে এবং ঝলসে খাবার খেত।
- এদের মস্তিস্কের আয়তন ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি, ১২০০ থেকে ১৬০০ ঘন সেন্টিমিটার। সুগঠিত চিবুক ছিল না। শক্তিশালী গঠন। মোটা হাড়। পেশীবহুল চেহারা। নিয়ানডারথ্যাল মানুষের উরুর অস্থির গঠন দেখে মনে হয় যে সে দুপায়ে সাবলীলভাবে হাঁটতে পারলেও হাঁটবার সময় তার হাঁটু দুটো সামনের দিকে অনেকটা বনমানুষের মত ঝুঁকে থাকতো। এরা মাঝারি উচ্চতা বিশিষ্ট ছিল। ৫ ফুট ১ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
- এরা অত্যন্ত উচ্চমানের পাথরের ও জীবজন্তুর হাড়ের, শিংয়ের ও দাঁতের অস্ত্র বানাতে পারতো। পাশাপাশি তীর-ধনুকের ব্যবহারও জানতো। এরা গুহাচিত্র অঙ্কনে বেশ পারদর্শী ছিল। এরা রান্না করা খাবার খেত।
- এদের আয়তন ছিল ১৩০০ ঘন সেন্টিমিটার। এদের আয়তক্ষেত্রকার অস্থিকোটর, সুগঠিত চিবুক, আধুনিক মানুষের মত দাঁতের গঠন ছিল। উরুর হাড়ের গঠন দেখে ধারণা করা যায় যে তারা মানুষের মতো দুপায়ে হাঁটতে পারতো। তারা ছিল অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট, মজবুত, পেশূবহুল চেহারার অধিকারী।
- প্রচলিত সমাজ ও সংস্কৃতির ধারক এরা।
- আধুনিক যুগের মানুষ।