সর্বশেষ:
ঢাকা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

cosmicculture.science: বিজ্ঞানকে জানতে ও জানাতে
বুধবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: বিজ্ঞান শিক্ষা » সৃজনশীল বিজ্ঞান শিক্ষার একটি নমুনা - ড. প্রদীপ দেব
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান নিবন্ধ: বিজ্ঞান শিক্ষা » সৃজনশীল বিজ্ঞান শিক্ষার একটি নমুনা - ড. প্রদীপ দেব
১২৭২ বার পঠিত
বুধবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সৃজনশীল বিজ্ঞান শিক্ষার একটি নমুনা - ড. প্রদীপ দেব

সৃজনশীল বিজ্ঞান শিক্ষা (প্রতীকী ছবি)
বর্তমানে বাংলাদেশের স্কুলশিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পেছনে সারা বছর যতক্ষণ সময় দেয়, পৃথিবীর আর কোন দেশের স্কুল শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পড়াশোনার পেছনে তত সময় দেয় বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের স্কুলের পড়াশোনার এখন সবটুকুই পরীক্ষাকেন্দ্রিক। জ্ঞানার্জনের জন্য পড়াশোনা শুধু কথার কথা। বাস্তবে মূল উদ্দেশ্য হলো পরীক্ষায় পাস করা। তাই শিশুশ্রেণিতে ভর্তির পূর্বেই শুরু হয় ভর্তি-পরীক্ষায় পাস করার কোচিং। তারপর স্কুল যত নামী সেই স্কুলের প্রতি শ্রেণিতে প্রতি ক্লাসে ক্লাস-টেস্ট, উইকলি টেস্ট, মান্থলি টেস্ট, অর্ধ-বার্ষিক, বার্ষিক সব মিলিয়ে প্রতি শ্রেণিতে গড়ে শ-খানেক পরীক্ষা দিতে হয় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে। সেসব পরীক্ষায় ভালো করার জন্য স্কুলের বাইরে কোচিং সেন্টারে দিতে হয় আরো কয়েকশ মডেল-টেস্ট। এত পরীক্ষাময় শিক্ষা-ব্যবস্থা আমি আর কোথাও দেখিনি।স্কুলে যে পরীক্ষাগুলো নেয়া হয় পরীক্ষার সেই খাতাগুলো পরে কেজি দরে বিক্রি করা হয় - এবং সেগুলোর কোন কোনটা মুদির দোকানের ঠোঙা হয়ে মাঝে মাঝে ঘরে চলে আসে। সেরকম একটা ঠোঙা থেকে বিজ্ঞানের যে সব উত্তর দেখলাম সেগুলো থেকে শিক্ষার্থীর (আসলে পরীক্ষার্থীর) সৃজনশীলতার কিঞ্চিৎ পরিচয় পাওয়া যায়, এবং পরীক্ষকও সেখানে নম্বর বিতরণ করেছেন বেশ উদারভাবেই।

ছবি থেকে আপনি নিজেই পড়ে নিতে পারবেন কী লিখেছেন আমাদের নবম শ্রেণির পরীক্ষার্থী। আমি স্কুলের নাম, পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নং এগুলো মুছে দিলাম। বাংলা বানানের যে ভয়াবহতা দেখছি - তা কি একার সমস্যা নাকি সমষ্টিগত সমস্যা তা শিক্ষকরাই ভালো বলতে পারবেন। অবশ্য ফেসবুকে ইদানীং যা খুশি লেখার স্বাধীনতার মতোই শব্দের বানানেও স্বেচ্ছাচারিতা প্রকট।

পরীক্ষার্থীর নিজস্ব বানানরীতি অক্ষুণ্ণ রেখেই হুবহু তুলে দিলাম এখানে:

পরীক্ষার্থীর নিজস্ব বানানরীতি অক্ষুণ্ণ রেখেই হুবহু তুলে দিলাম এখানে:
“১ প্রশ্ননের উত্তর পদার্থবিজ্ঞান
১।(ক) শব্দ কি? শব্দের উৎস বলতে কি বুঝ?
শব্দ: কোন শব্দ বোড়ে আওয়াজ করলে বা যে কোন বাইরে শব্দ করলে তাকে শব্দ বলে।
শব্দের উৎস বলতে আমরা অনেকই অনেক সময় জোড়ে আওয়াজ করি করে থাকি তা হল শব্দ, এবং আনাদের ঘর তেকে টেম, লেড়িৎর, টেলিবিশনের অনেক সময় আওয়াছ করে থাকে। তাকে শব্দ বলে। আবার অনেক সময় আমাদের বাসাতে কোন না কোন জিনিস পড়ে থাকে, এই কারণে খুব জোড়ে আওয়াছ হয়ে তাকে, তাকে শব্দের উৎস বলে। আমাদের দেশে অনেক মানুষে আবার কেউ বাসি বাজায়, কেউ গান করে, থাকে তাকে ও শব্দের উৎস বলে। আবার বেশী শব্দ শুনলে কানে জন্য ক্ষতি হতে পারে। এই জন্য মানুষের শব্দ কম শুনা ভাল।

আমরা শব্দ মাধ্যমে বাভে শুনব যাতে ক্ষতি না হয়, এই কারণে।

পরীক্ষার্থীর নিজস্ব বানানরীতি অক্ষুণ্ণ রেখেই হুবহু তুলে দিলাম এখানে:
খ প্রশ্ননের উত্তর
উত্তর। যে বস্তু কম্পনের ফলের শব্দ সৃষ্টি হয়, কোন বস্তুর কম্পনের ফলেই শব্দের উৎপত্তি হয়। আর যে সব বস্তুর কম্পনের ফলেই শব্দের পরীক্ষার সাহায্যে লাগে। সাধারণত পরীক্ষার জন্য তিনটি জিনিস লাগে।
১। একটি সুরুলী কাঁটা ২। একটি আশের বল
৩। আর একটি আদল গাছের ডাল।
পরীক্ষা সাহায্যে: আমরা প্রথমে সুরুলী কাঁটাটা সহ নিতে হবে এবং আশের বলটাও নিতে হবে তারপর গাছের ডালে সুতা দিয়ে বানতে হবে। আর যকখ আস্তে আস্তে করে বলটা টান দাও। তাহলে কটা বড় আওয়াছ শব্দ করে উটবে। তার তখন থেকে শব্দ সৃষ্টি হবে। আর বলটি যখন নরবে তখন শব্দ বন্দ হয়ে যাবে। আমরা একটু শব্দ কম শুনার জন্য চেষ্টা করব। যাতে আমাদের আর অন্য কোন মানুষের ক্ষতি না হয়।

পরীক্ষার্থীর নিজস্ব বানানরীতি অক্ষুণ্ণ রেখেই হুবহু তুলে দিলাম এখানে:
৪ প্রশ্ননের উত্তর
উঃ
নিরাপত্তা ফিউজঃ আমাদের সবার প্রয়োজন সব সময় নিরাপত্তা থাকা। আর আমাদের ঘরের যদি কোন তার ফিউজ হলে প্রথমে মেন সুয়েছটি করে দিতে হবে। R আমাদের বাড়ীতে নানা ধরনের দুরগঠনা গঠে থাকে এই কারণে বিদ্যুতিক থেকে সচেতনতা হওয়া দরকার।

এর গঠন ও কার্যাবলীঃ আমাদের সকলের দরকার নিরাপত্তা হওয়া। যদি কোন মানুষ কারণের কাজ করে তাকে অনেক নিরাপত্তা হওয়া দরকার। এবং কোন কাজে করার সময় যেন তারটা বন্ধ করে দিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের বাড়িতে বালি দিলে, পাকা ছাড়লে বা টেলিবিশন ছাড়ার আগে খুব হুশিয়ারে ছাড়তে হবে। যাতে কোন দুরগঠনা না হয়। এই কারণে আমাদের খুব সাবধান হতে হবে। এর গঠণ ও কার্যাবলী থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। আমাদের সকলে নিরাপত্তা দরকার এবং অন্য কেউ বুঝা দরকার।

পরীক্ষার্থীর নিজস্ব বানানরীতি অক্ষুণ্ণ রেখেই হুবহু তুলে দিলাম এখানে:
রাসায়ন বিজ্ঞান
৫ প্রশ্ননের উত্তর
(ক) উঃ ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয়তা: আমাদের সৌন্দর্য্য হল ত্বক। আর খুব বেশি সুন্দর হওয়া প্রয়োজন দরকার নারীরা। অনেক নারীরা ত্বকের যত্নে নিয়ে তাকে। এবং আমাদের দেশের নারীরা ত্বকের যত্ন নিতে পারে। আমাদের প্রয়োজন সব সময় পরীস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া আর শরীলের প্রতি যত্ব নিবো দরকার।

৭ প্রশ্ননের উত্তর
(ক) তন্তু কাকে বলে।
উত্তর। আমাদের যে কোন বস্তু দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় বা হয়ে তাকে তন্তু বলে। ”

চাইলে এর সবটুকুই হেসে উড়িয়ে দেয়া যায় - যেমন আমরা অন্যান্য সব বিষয়ের ব্যাপারে করে থাকি। এই পরীক্ষার্থী সবগুলো প্রশ্নের জায়গায় ‘প্রশ্নন” লিখেছেন। প্রশ্নন বলে কি কোন শব্দ আছে?

ড. প্রদীপ দেব, গবেষক ও লেখক; মেলবোর্ণ, অস্ট্রেলিয়া
* লেখাটি www.praddipdeb.org থেকে সংকলিত।




বিজ্ঞান নিবন্ধ: বিজ্ঞান শিক্ষা এর আরও খবর

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মহাবিশ্বের প্রারম্ভিক অবস্থার খোঁজেজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম রঙীন ছবি প্রকাশ
ব্ল্যাকহোল থেকে আলোকরশ্মির নির্গমন! পূর্ণতা মিলল আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের
প্রথম চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স এর জীবনাবসান
মঙ্গলে ইনজেনুইটি’র নতুন সাফল্য
শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নির্দেশকের সন্ধান লাভ
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
বামন গ্রহ সেরেসের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতার কারণ লবণাক্ত জল
রাতের আকাশে নিওওয়াইস ধূমকেতুর বর্ণিল ছটা,আবার দেখা মিলবে ৬,৭৬৭ বছর পরে!
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০
মহাকাশে পদার্পণের নতুন ইতিহাস নাসার দুই নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের মহাকাশে যাত্রা