বৃহস্পতিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩
প্রথম পাতা » মঙ্গল গ্রহে অভিযান » মার্স ওয়ান বাছাই প্রক্রিয়া
মার্স ওয়ান বাছাই প্রক্রিয়া
পাঁচ মাসের আবেদন প্রক্রিয়ায় মার্স ওয়ান মিশনের জন্য ১৪০ টি দেশের ২০২,৫৮৬ টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। আবেদনের ধারাবাহিকতায় শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (২৪%), ভারত (১০%), চীন (৬%), ব্রাজিল (৫%), গ্রেট ব্রিটেন (৪%), কানাডা (৪%), রাশিয়া (৪%), মেক্সিকো (৪%), ফিলিপাইন (২%), স্পেন (২%), কলম্বিয়া (২%), আর্জেন্টিনা (২%), অস্ট্রেলিয়া (১%), ফ্রান্স (১%), তুর্কি (১%), চিলি (১%), ইউক্রেন (১%), পেরু (১%),জার্মানি (১%), ইতালি (১%), এবং পোল্যান্ড(১%)। বাংলাদেশ এই শীর্ষ তালিকায় না থাকলেও ১৭ জন বাংলাদেশী এই অন্তিম যাত্রার জন্য আবেদন করেছেন, যা তুলনামূলক অবস্থান বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। চার রাউন্ডের বাছাই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হবে মঙ্গলে বসতি গড়ার পথিকৃতদের। মঙ্গলে বসতি স্থাপনের এই প্রক্রিয়ায় ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রথম রাউন্ডে শুধুমাত্র প্রাথমিক আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। মার্স ওয়ান নির্বাচন কমিটি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই আবেদনপত্র সমূহ বাছাই করবে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে পরবর্তী আরও তিনটি রাউন্ড সম্পন্ন করে চূড়ান্তভাবে নভোচারী নির্বাচন করা হবে। যারা এবারের মতো আবেদন করার সুযোগ পাননি বা যাদের বয়স আঠারো পার হয়নি তারা পরবর্তীতে আবেদনের সুযোগ পাবেন। কারণ মার্স ওয়ান নিয়মিতভাবেই এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
১ম রাউন্ড
প্রথম রাউন্ডে অনলাইনে আবেদন করতে হয়েছে। ১৮ বছর বা অধিক বয়সী যে কেউ এখানে আবেদন করার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, ফ্রেঞ্চ, জার্মানি, রাশিয়ান, আরবী, ইন্দোনেশিয়ান, চাইনিজ ম্যান্ডারিন, জাপানিজ এবং কোরিয়ান এই ১১টি ভাষায় আবেদন করা গেছে। আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সাধারণ তথ্য, একটি প্রণোদনামূলক লিখিত চিঠি, জীবন বৃত্তান্ত এবং কেন সে এই মিশনে অংশগ্রহণে আগ্রহী সেই সব তথ্য জানিয়ে এক মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র প্রেরণ করতে হয়। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য মাত্র ৬ ডলার ফি পরিশোধ করতে হয়। মার্স ওয়ান কমিটি প্রথম রাউন্ডের আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করবে।
২য় রাউন্ড
দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রার্থীদের চিকিৎসকের কাছ থেকে সুস্বাস্থ্যের একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। একইসাথে প্রার্থীদের নির্বাচন কমিটির সাথে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং এর মধ্যে দিয়েই পরবর্তী রাউন্ডের যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে।
৩য় রাউন্ড
তৃতীয় রাউন্ড হচ্ছে আঞ্চলিক বাছাই রাউন্ড, যা টিভি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে দর্শকদের দেখানো হবে। এখানে অঞ্চলভিত্তিক ২০-৪০ জন আবেদনকারীকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা হবে, যেখানে মঙ্গল মিশনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের উপযুক্ততা যাচাই করা হবে। দর্শকরা প্রতি অঞ্চল থেকে একজন করে প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং মার্স ওয়ান কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত প্রার্থীদের বাছাই করবে।
৪র্থ রাউন্ড
চতুর্থ রাউন্ডে উত্তীর্ণ প্রত্যেককে ইংরেজিতে যোগাযোগে সক্ষম হতে হবে। এই বাছাই প্রক্রিয়াটি সারা বিশ্বে প্রদর্শন করা হবে। কর্তৃপক্ষ আলাদা আলাদা প্রার্থীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক গল গঠন করবে, যাদেরকে রূঢ় অবস্থায় টিকে থাকার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে এবং কঠিন অবস্থায় দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলগুলোকে মঙ্গলের অনুরূপ পরিবেশে স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। এভাবে চারজন সদস্য নিয়ে গঠিত ছয়টি পৃথক দল বাছাই করা হবে যারা চিরস্থায়ীভাবে মার্স ওয়ান নভোচারী হিসেবে কাজ করবে।