অধিক বয়সে বাবা হলে সন্তানরা দীর্ঘায়ু হয়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের ড্যান আইজেনবার্গ ও তাঁর সহযোগীরা সম্প্রতি এক গবেষণায় জানিয়েছেন যে অধিক বয়সে বাবা হওয়ার ফলে তাদের সন্তানেরা দীর্ঘজীবি হওয়ার সুযোগ লাভ করবে। এমনকি যেসব ব্যক্তি বেশি বয়সে সন্তানের বাবা হয়েছেন, তাদের নাতিদের ক্ষেত্রেও এই সুফল পাওয়া যেতে পারে। গবেষণার এই ফলাফলটি বিজ্ঞান প্রকাশনা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি সায়েন্স-এ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকরা দেখিয়েছেন মানবদেহের বংশগতির ধারক ডিএনএকে আশ্রয়দানকারী ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তে থাকে একধরনের অবয়ব, যাকে টেলোমের বলা হয়ে থাকে। সাধারণত টেলোমের আকারে যত ছোট হয়, তাদের আয়ুষ্কালও তত কম বলে ধরে নেওয়া হয়। টেলোমেরগুলো ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তকে ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। যদিও অধিকাংশ কোষেই এই টেলোমেরগুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট হতে থাকে। তবে নতুন এই গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণুর ভেতরের টেলোমেরগুলো বড় হতে থাকে। তাই পুরুষ যত দেরিতে বাবা হয়, টেলোমেরগুলো ততই বাড়ার সুযোগ পায়।

গবেষক দল ফিলিপাইনে এক হাজার ৭৭৯ তরুণের ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করেছেন। ওই তরুণেরা উত্তরাধিকার সূত্রে কী ধরনের টেলোমের পেয়েছে, তা বের করতে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা গেছে, জন্মের সময় এসব তরুণের মধ্যে যাদের বাবার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি থেকে পঞ্চাশের কিছুটা ওপরে ছিল, তাদের টেলোমেরগুলো অপেক্ষাকৃত লম্বা। ফলে গবেষকদের দাবি সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে যেসব বাবা কমবেশি ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, সেই সন্তানেরাই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার বাড়তি সুযোগ লাভ করে।

সূত্র: বিবিসি