শুক্রবার ● ৪ নভেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ » বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা
বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার জানিয়েছে (২ নভেম্বর, ২০১১ অনলাইনে প্রকাশিত), মানুষের বুড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ভূমিকা রাখে senescent cell বা ‘বৃদ্ধ কোষ’। এই কোষগুলো দূর করতে পারলে শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না।
সাধারণত অল্প বয়সে একটি কোষ বুড়িয়ে গেলেও শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ই নতুন কোষ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বয়সের একটা পর্যায়ে গিয়ে নতুন কোষ সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। তখন দিনে দিনে বৃদ্ধ কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর এতেই বয়সের ছাপ পড়তে থাকে শরীরে। গবেষকদের হিসাব করে দেখেছেন, বেশি বয়সী মানুষের শরীরের প্রায় ১০ শতাংশ কোষই বৃদ্ধ কোষ।
এই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের গবেষকেরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জন্ম দেওয়া ইঁদুরের শরীর থেকে বৃদ্ধ কোষ সব ধ্বংস করে ফেলেন। এরপর দেখা যায় ওই সব ইঁদুর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আরও অনেক দেরিতে বুড়ো হচ্ছে। নতুন করে সৃষ্ট বৃদ্ধ কোষও মেরে ফেলা যাচ্ছে আবার ওষুধ প্রয়োগ করে। গবেষকরা তিনটি বিষয়কে বার্ধক্যের লক্ষণ হিসেবে ধরে থাকেন। এগুলো হলো: চোখে ছানি পড়া, পেশি সংকুচিত হওয়া এবং ত্বক কুচকে যাওয়া। কিন্তু গবেষকেরা জানান, ওষুধ প্রয়োগ করে বৃদ্ধ কোষ সরিয়ে ফেলার পর দেখা গেছে, বার্ধক্যের ওই সব লক্ষণ অনেক দেরিতে প্রকাশ পাচ্ছে।
অবশ্য এই পন্থা মানুষের আয়ুকালের উপরে কোন প্রভাব ফেলবে না। শুধুমাত্র বার্ধক্যের ছাপকে লুকিয়ে রাখবে মাত্র। তবে ইঁদুরের ওপর এটি সফলভাবে কাজ করলেও মানুষের ক্ষেত্রেও কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। যদিও গবেষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যে, শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধব্যবস্থা যদি কিছুটা জোরালো করা যায় এবং এর মাধ্যমে বৃদ্ধ কোষ কমিয়ে রাখা যায়, তাহলে এই আবিস্কার কাজ করবে।
সূত্র: বিবিসি অনলাইন, নেচার অনলাইন।