সর্বশেষ:
ঢাকা, মে ১৪, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

cosmicculture.science: বিজ্ঞানকে জানতে ও জানাতে
বুধবার ● ৪ জুলাই ২০১২
প্রথম পাতা » শুক্র গ্রহের ট্রানজিট » ইতিহাসে শুক্র ট্রানজিট
প্রথম পাতা » শুক্র গ্রহের ট্রানজিট » ইতিহাসে শুক্র ট্রানজিট
৪৭১ বার পঠিত
বুধবার ● ৪ জুলাই ২০১২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইতিহাসে শুক্র ট্রানজিট

১৬২৭ সালে জ্যোতির্বিদ জোহান্স কেপলার গ্রহগতি সংক্রান্ত যে তালিকা প্রকাশ করেন সেখানে গ্রহগুলোর ভবিষ্যত অবস্থান এবং তাদের কিছু অদ্ভুত বিন্যাসের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি তখন বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন, সৌরজগতের শুধুমাত্র বুধ ও শুক্র গ্রহ সূর্যের উপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। তিনি হিসেব কষে বের করেন ১৬৩১ সালের শেষের দিকে বুধ ও শুক্র উভয়েরই এরকম চলন ঘটবে কিন্তু এই ঘটনার পূর্বেই কেপলার মারা যান। কিন্তু ফরাসী জ্যোতির্বিদ পিয়েরে গ্যাসেন্দি বুধের এই ট্রানজিটের প্রথম প্রতক্ষ্যদর্শী হয়েছিলেন। তিনি পরবর্তী মাসে শুক্রের ট্রানজিটটিও পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু আধুনিক হিসেবে দেখা গেল এই ট্রানজিটটি ইউরোপ থেকে দৃশ্যমান হবে না। কেপলার হিসেব অনুযায়ী পরবর্তী শতাব্দীর পূর্বে আর শুক্রের ট্রানজিট দেখতে পাবার কথা নয়। একজন তরুণ ও শৌখিন ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ জেরিমিয় হরক্স অনুমান করেন শুক্রের পরবর্তী ট্রানজিটটি ১৬৩৯ সালে সংঘটিত হবে। এই ট্রানজিটের মাত্র মাসখানেক আগে তিনি নির্ভূলভাবে ট্রনজিটের সময় হিসেব করতে সক্ষম হলেন। তিনি ও তার বন্ধু উইলিয়াম ক্যাবট্রি ১৬৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত এই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হন।
১৬২৭ সালে জ্যোতির্বিদ জোহান্স কেপলার বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন, সৌরজগতের শুধুমাত্র বুধ ও শুক্র গ্রহ সূর্যের উপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।এই ঘটনার প্রায় চল্লিশ বছর পর তরুণ অ্যাডমন্ড হ্যালি দক্ষিণ গোলার্ধের নক্ষত্রের ক্যাটালগ তৈরির সময়ে ১৬৭৭ সালের বুধের ট্রানজিট পর্যবেক্ষণ করেন। হ্যালি লক্ষ্য করেন এই ট্রানজিটের সাহায্যে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব নিরূপণ করা যেতে পারে। বিংশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত গ্রহগুলোর আন্তঃদূরত্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এটিই ছিল একমাত্র উপায়। এক্ষেত্রে বুধের চেয়ে শুক্রের ট্রানজিটই বেশি গ্রহণযোগ্য কারণ শুক্র অপেক্ষাকৃত পৃথিবীর নিকটবর্তী। তিনি ১৭১৬ সালে এই বিষয়ে একটি রচনাও প্রকাশ করেন।

শুক্র গ্রহের এই ট্রানজিট অস্ট্রেলিয়ার জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা ১৭৬৯ সালে গ্রহটির ট্রানজিট ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমস কুক দক্ষিণের এ মহাদেশ আবিস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বছর ক্যাপ্টেন কুক ট্রানজিটের দৃশ্য পর্যবেক্ষণ একটি বিশেষ জাহাজে করে বেরিয়ে পড়েন। সফলভাবে তা করার পর তাঁকে ‘গ্রেট সাউথ ল্যান্ড’ অন্বেষণে পাঠানো হয়। ধারণা করা হতো, প্রশান্ত মহাসাগরে এটার অস্তিত্ব রয়েছে। ওই যাত্রার সময় তিনি সত্যিই অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে পৌছে যান। এ ঘটনার পর ১৭৭০ সালে ব্রিটিশরা মহাদেশটির ওপর তাদের দাবী প্রতিষ্ঠা করে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
মহাবিশ্বের প্রারম্ভিক অবস্থার খোঁজেজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম রঙীন ছবি প্রকাশ
ব্ল্যাকহোল থেকে আলোকরশ্মির নির্গমন! পূর্ণতা মিলল আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের
প্রথম চন্দ্রাভিযানের নভোচারী মাইকেল কলিন্স এর জীবনাবসান
মঙ্গলে ইনজেনুইটি’র নতুন সাফল্য
শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নির্দেশকের সন্ধান লাভ
আফ্রিকায় ৫০ বছর পরে নতুনভাবে হস্তিছুঁচোর দেখা মিলল
বামন গ্রহ সেরেসের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতার কারণ লবণাক্ত জল
রাতের আকাশে নিওওয়াইস ধূমকেতুর বর্ণিল ছটা,আবার দেখা মিলবে ৬,৭৬৭ বছর পরে!
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০
মহাকাশে পদার্পণের নতুন ইতিহাস নাসার দুই নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের মহাকাশে যাত্রা