বুধবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০১১
প্রথম পাতা » বিজ্ঞান সংবাদ » প্রথমবারের মত বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান লাভ
প্রথমবারের মত বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান লাভ
নাসা’র কেপলার মিশন সম্প্রতি বাসযোগ্য অঞ্চলে সর্বপ্রথম গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে, যেখানে গ্রহপৃষ্ঠে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কেপলার এছাড়াও ১,০০০ এর বেশি গ্রহ আবিষ্কার করেছে, যেটি ছিল আগের ধারনাকৃত সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। এর মধ্যে দশটি গ্রহের আকৃতি পৃথিবীর মতো, যারা বাসযোগ্য অঞ্চলে নিজ নিজ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণরত। তবে এগুলো যে প্রকৃত গ্রহই সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে ‘কেপলার-২২বি’, যা বাসযোগ্য অঞ্চলে আমাদের সূর্যের মত একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণরত। আয়তনে গ্রহটি পৃথিবী থেকে ২.৪ গুণ বড়। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চত নন যে কেপলার-২২বি গ্রহটি কি পাথুরে, গ্যাসীয় না তরল অবস্থায় রয়েছে। তবে পৃথিবী সদৃশ গ্রহ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
‘পৃথিবীর যমজকে খুঁজে পেতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক’ জানালেন ওয়াশিংটনে নাসা’র প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত কেপলার প্রোগ্রাম বিজ্ঞানী ডগলাস হাজিন। তিনি বলেন, ‘নাসা’র বিজ্ঞান মিশনসমূহ প্রদর্শনের জন্য কেপলার এর অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে, যার লক্ষ্য হবে মহাবিশ্বে আমাদের অবস্থান সংক্রান্ত কিছু জটিল প্রশ্নের উত্তর বের করা।’
পূর্ববর্তী গবেষণা পৃথিবী’র আকারের কাছাকাছি মাপের গ্রহের অস্তিত্ব থাকার ব্যপারে সূত্র দিয়েছিল কিন্তু স্পষ্ট প্রমান ছিল নাগালের বাইরে। সম্প্রতি বাসযোগ্য অঞ্চলের প্রান্তসীমায় আমাদের সূর্যের চেয়ে আকারে ছোট এবং শীতল নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণরত দুইটি ছোট গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যাদের কক্ষপথ ছিল শুক্র ও মঙ্গল গ্রহের মত।
‘এই গ্রহটির সন্ধান পাওয়ার মধ্যে দিয়ে ভাগ্য আমাদের প্রতি সদয় হয়েছে’ জানালেন কেপলারের প্রধান পরিদর্শক উইলিয়াম বরুকি, যিনি কেপলার-২২বি আবিষ্কার দলের পরিচালনা করছেন।
কেপলার-২২বি গ্রহটি আমাদের থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। যেখানে এটি ২৯০ দিনে তার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলছে। এর সূর্যটি G-type এর, যদিও এটি আমাদের সূর্যের তুলনায় কিছুটা ছোট ও শীতল।
কেপলার বাসযোগ্য অঞ্চলে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ পর্যন্ত মোট ৫৪টি গ্রহ সম্পর্কে রিপোর্ট করলেও কেপলার ২২-বি সর্বপ্রথম গ্রহ যেটিকে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জ্যোতিঃর্পদার্থবিদ্যা জার্নালে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র: নাসা